ব্রেকিং
  • Home /
  • পশ্চিমবঙ্গ /
  • Jobless Teachers Agitation : বেতনের লিস্ট আসতেই শিক্ষকরা ফিরলেন স্কুলে, তালিকায় যাদের নাম নেই তারা ধর্নায়

Jobless Teachers Agitation : বেতনের লিস্ট আসতেই শিক্ষকরা ফিরলেন স্কুলে, তালিকায় যাদের নাম নেই তারা ধর্নায়

সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন। “আমাদের নাম এসে গিয়েছে, স্কুলে একবার ফিরতেই হবে” জানিয়ে এসএসসি ভবনের সামনে থেকে অবস্থান তুলে একদল ফিরছেন স্কুলে আর একাংশ আন্দোলনে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিল হওয়ায় এক চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছিলেন রাজ্যের বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা ও....

Jobless Teachers Agitation : বেতনের লিস্ট আসতেই শিক্ষকরা ফিরলেন স্কুলে, তালিকায় যাদের নাম নেই তারা ধর্নায়

  • Home /
  • পশ্চিমবঙ্গ /
  • Jobless Teachers Agitation : বেতনের লিস্ট আসতেই শিক্ষকরা ফিরলেন স্কুলে, তালিকায় যাদের নাম নেই তারা ধর্নায়

সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন। “আমাদের নাম এসে গিয়েছে, স্কুলে একবার ফিরতেই হবে” জানিয়ে এসএসসি ভবনের সামনে....

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
X
Threads
Telegram

আরও পড়ুন

সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।

“আমাদের নাম এসে গিয়েছে, স্কুলে একবার ফিরতেই হবে” জানিয়ে এসএসসি ভবনের সামনে থেকে অবস্থান তুলে একদল ফিরছেন স্কুলে আর একাংশ আন্দোলনে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিল হওয়ায় এক চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছিলেন রাজ্যের বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মচারী। সল্টলেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দপ্তরের সামনে চলছিল তাঁদের লাগাতার আন্দোলন। এই পরিস্থিতিতে কমিশন যোগ্য শিক্ষকদের একটি তালিকা প্রকাশ করার পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই তালিকা অনুযায়ী যোগ্য শিক্ষকরা স্কুলে ফিরতে শুরু করেছেন। তবে তালিকায় নাম না থাকা যোগ্য প্রার্থীরা এখনও কর্মহীন অথবা ধর্না চালিয়ে যাচ্ছেন।
আপাতত এসএসসি ভবনের সামনে থেকে অবস্থান তুলে নিলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। এবার তাঁদের অবস্থান চলবে শহিদ মিনারে। আংশিক দাবি পূরণ হওয়ায় গরমের ছুটির আগে পর্যন্ত স্কুলে যাবেন যোগ্য শিক্ষকেরা। তবে ‘যোগ্য’ হয়েও যাঁদের নাম এসএসসির তালিকায় আসেনি, তাঁদের অধিকারের জন্য আন্দোলন জারি থাকবে বলে জানালেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। ‘যোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনকে দু’দিন সময় দেওয়া হল। তাঁদের দাবি পূরণ না হলে তাঁরা এবার বিকাশ ভবন অভিযান করবেন। যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে গত সোমবার থেকে এসএসসি ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। তবে সেদিন তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। পরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, এভাবে তালিকা প্রকাশ সম্ভব নয়। তবে পরে কারা স্কুলে যোগ দিতে পারবেন, সেই তালিকা ডিআই-দের পাঠানো হয়।

তারপরই এদিন এসএসসি ভবনের সামনে থেকে অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার কথা জানান চাকরিহারা শিক্ষকরা। চাকরিহারা শিক্ষকদের তরফে মেহবুব মণ্ডল বলেন, “বেশ কয়েকদিন ধরে এখানে অবস্থান চালাচ্ছিলাম। যে দাবিগুলি নিয়ে অবস্থান চালাচ্ছিলাম, তার আংশিক পূরণ হয়েছে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত একটা গন্ডগোল রয়েছে। আমরা যোগ্যদের একটা তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়েছিলাম। সেই তালিকা ডিআই অফিসগুলিতে গিয়েছে। কিন্তু, এই তালিকা যে দায়িত্বের সঙ্গে করা উচিত ছিল, তা হয়নি। শিক্ষকদের রেকর্ড রাখে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। স্কুল সার্ভিস কমিশনকে সেই কাজ করতে বলা হয়েছে, কারণ তারা সুপারিশ করে। সেখানে কিছু ভুল রয়েছে। কারণ, স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশের পরও হয়তে কেউ চাকরি করেননি, তাঁর নামও চলে এসেছে। অযোগ্য হিসেবে পরিচিত হয়েছে, তাঁর নামও চলে এসেছে। আবার যাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই, তাঁদের নাম বাদ গিয়েছে। অনেকে স্কুল পরিবর্তন করেছিলেন, তাঁদের নামও বাদ গিয়েছে। ফলে একটা বড় অংশের শিক্ষক-শিক্ষিকার নাম নথিভুক্ত করা হয়।”

এই ‘ভুল’ সংশোধনের জন্য সময় বেঁধে দিয়ে মেহবুব মণ্ডল বলেন, “আমরা দফতরকে এই জানিয়েছি। আজ এবং কাল(শনিবার) সময় দিয়েছি। তার মধ্যে এসব ঠিক না হলে আমরা বিকাশ ভবন ঘেরাওয়ের ডাক দেব।”

স্কুলে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়ে মেহবুব বলেন, “আমাদের নাম এসে গিয়েছে। আদালতের নির্দেশ রয়েছে। স্কুলে একবার ফিরতেই হবে। ৩০ এপ্রিল থেকে গরমের ছুটি পড়ে যাবে। ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত আমরা স্কুল যাব। ছুটির সময় আন্দোলনে নামব। তাই আন্দোলন প্রত্যাহার করছি।” যোগ্যদের মধ্যে যাঁদের নাম আসেনি, তাঁদের জন্য অবস্থান চলবে জানিয়ে মেহবুব বলেন, “আমরা এখন শহিদ মিনারে যাব। আর এখনও যাঁদের নাম আসেনি, তাঁদের নিয়ে ওখানে ধরনা-অবস্থান চালাব।”

স্থান পরিবর্তনের অন্যতম কারণ হিসেবে মেহবুব বলেন, “আমাদের একটা রিভিউ পিটিশনের কাজ শুরু করছি। ওকালতায় নামায় সই সহ বিভিন্ন কাজ নিখুঁত হওয়া দরকার। কিন্তু, এখানে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এই কাজ করতে চাই না। সেই কারণেও স্থান পরিবর্তন করতে চাইছি।”
ইতিমধ্যে এসএসসি ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিতরাও। ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের অভিযোগ, গতকাল রাতে তাঁদেরই একজন শিক্ষক চিন্ময় মণ্ডলকে থাপ্পড় মারে অযোগ্য শিক্ষকদের মধ্যে থেকে কেউ। থানায় অভিযোগও করা হয়। কিন্তু পুলিশ কাউকে ধরতে পারেনি। এসএসসি ভবনের সামনে থেকে অবস্থান তুলে নেওয়ার পিছনে এই ঘটনা কাজ করছে কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছে। গতকালের ঘটনার কথা জানালেও অবস্থার তোলার পিছনে এই কারণও রয়েছে কি না, তা নিয়ে মেহবুব বলেন, “ওঁরা আমাদের প্রতিপক্ষ নয়। ওঁদের সঙ্গে কোনও শত্রুতা নেই।” তাঁরা ভয় পেয়ে স্থান পরিবর্তন করছেন না বলে স্পষ্ট করে দেন মেহবুব।


ভাঙড়ের পোলেরহাট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সন্দীপ সরকার জানান, তাঁদের স্কুলের প্রায় ৭০ জন শিক্ষক যোগ্য-অযোগ্য তালিকায় ছিলেন। তাদের মধ্যে দু’জন শিক্ষক অযোগ্য তালিকায় চলে গেছেন এবং চারজন শিক্ষক বৃহস্পতিবার স্কুলে কাজে যোগ দিয়েছেন। একসঙ্গে ৬ জন শিক্ষক কর্মহীন হয়ে পড়ায় প্রায় ৩৯০০ ছাত্রছাত্রীর পঠনপাঠন নিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলেন তারা। শিক্ষকদের ফিরে আসায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে।

আজকের খবর