সুষমা পাল মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
মুম্বাইয়ের মতো এবার বাংলাতেও চালু হতে চলেছে এসি লোকাল ট্রেন। রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে বাংলায় প্রাথমিকভাবে দুটির রুটে বেশি লোকাল ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে।
পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে (আইসিএফ) দুটি এসি লোকাল ট্রেন তৈরি এবং পরীক্ষার পর্যায়ে আছে। যেগুলি শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশনে চালানো হবে।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এসি লোকাল ট্রেনের দরজা বন্ধ থাকবে। যখন স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াবে, শুধু তখনই দরজা খুলবে। আবার ট্রেন ছাড়ার আগে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর এসি লোকাল ট্রেনের দরজা খোলা এবং বন্ধের পুরো বিষয়টি চালক এবং গার্ডের হাতে থাকবে। অর্থাৎ মেট্রোয় যেমন হয়, সেরকমই হবে এসি লোকাল ট্রেনে।
প্রতিটি এসি লোকাল ট্রেনে ১২টি কোচ থাকবে। আর পুরো ট্রেনটাই শীততাপ-নিয়ন্ত্রিত হবে। প্রতিটি ট্রেনে মোটামুটি ১,১০০ জন বসতে পারবেন। ট্রেনে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা। জিপিএস-নির্ভর এলইডি ডিসপ্লেও থাকবে। পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছ, সার্বিকভাবে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যে বিভিন্ন ব্যবস্থা করা হয়েছে এসি লোকাল ট্রেনে।
ইতিমধ্যে মুম্বইয়ে এসি লোকাল ট্রেন চালানো হয়। দিনকয়েক আগে চেন্নাইয়েও এসি লোকাল ট্রেনের পরিষেবা চালু হয়েছে। দীর্ঘদিন জল্পনা চলছে যে কলকাতায় এসি লোকাল ট্রেন চালু করা হবে। এমনকী জল্পনা ছড়িয়েছিল যে ২০২৪ সালেই সেই পরিষেবা চালু করা হবে। যদিও শেষপর্যন্ত সেটা হয়নি। ফলে বেড়েছে প্রতীক্ষা। যা প্রতীক্ষায় খুব শীঘ্রই শেষ হবে বলে আশা জোগাল রেল।
সূত্রের খবর, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শীঘ্রই কাটোয়া-হাওড়া রুটে এসি লোকাল ট্রেন ছুটতে পারে। এমনিতে হাওড়া ডিভিশনের সবথেকে অন্যতম ব্যস্ততম রুট হল কাটোয়া-হাওড়া। এখন শোনা যাচ্ছে, এই রুটেই খুব সম্ভবত এসি লোকাল ট্রেনকে ছুটতে দেখা যাবে। যদিও এই বিষয়ে রেলের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করা হয়নি। তবে এই রুটে যদি নতুন ট্রেন পরিষেবা শুরু হয় তাহলে লাভবান হবেন লক্ষ লক্ষ মানুষ।
সূত্রের খবর, কাটোয়া থেকে হাওড়া এসি লোকাল ট্রেন ব্যান্ডেল জংশনের মাধ্যমে চলবে। এটি প্রায় ৩ ঘণ্টায় ১৪৪ কিমি দুরত্ব পার করবে। এবার আসা যাক রুট প্রসঙ্গে। কাটোয়া ও হাওড়ার মধ্যে যাত্রাকালে এসি লোকাল ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে থামবে, যার মধ্যে রয়েছে দাঁইহাট, অগ্রদ্বীপ, পাটুলি, বেলেরহল্ট, লক্ষ্মীপুর, পূর্বস্থলী, ভান্ডারটিকুরি, বিষ্ণুপ্রিয়া হল্ট, নবদ্বীপ ধাম, কালিনগর, সমুদ্রগড়, ধাত্রিগ্রাম, বাঘনাপাড়া, অম্বিকা কালনা, গুপ্তিপাড়া, বেহুলা, সোমরা বাজার, বলাগড়, জিরাট, খামারগাছী, ডুমুরদহ, কুন্তিঘাট, ত্রিবেণী, বাঁশবেড়িয়া, ব্যান্ডেল জংশন, হুগলি, চুঁচুড়া, চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর, বৈদ্যবাটি, শেওড়াফুলি, শ্রীরামপুর, রিষড়া, কোন্নগর, হিন্দ মোটর, উত্তরপাড়া, বালি, বেলুড় এবং লিলুয়া।

শিয়ালদা ডিভিশনের কোন রুটে চলবে এসি লোকাল ট্রেন? ভাড়া কত পড়বে?
শিয়ালদহ ডিভিশনের মধ্যে শিয়ালদহ থেকে বনগাঁ পর্যন্ত ভায়া বারাসত একটি লোকাল ট্রেন চালানোর বিষয় প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।

জানিয়ে রাখি, এই বিষয়ে রেলের তরফে পাকাপাকিভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে প্রাথমিকভাবে সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ 200 টাকা পর্যন্ত ভাড়া চালু করার বিষয়ে প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
Both the AC EMU trains will have 12 coaches & will have seating capacity of 1116 passengers. The fare could range between ₹50-200.