শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
“ওপার বাংলা আর এপার বাংলাকে মিলিয়ে দিলেন মহম্মদ ইউনুস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশকে অনুকরণ করে সশস্ত্র বাহিনীর নিরাপত্তায় পুজোর রেওয়াজ এপার বাংলায় চালু করালেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী।” এভাবেই সরস্বতী পূজার দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলাদেশের ইউনুস এর সঙ্গে তুলনা করে তীব্র আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশ পাহারায় সরস্বতী পুজো! তাও আবার শহর কলকাতার সেই কলেজে, একদা যে কলেজের ছাত্রী ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! রবিবার সরস্বতী পুজোর দিন এই বিষয়টি নিয়ে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের ঘটনা নিয়ে কলকাতার সঙ্গে সরাসরি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করলেন তিনি। আর ওপার বাংলার কেয়ারটেকার শাসক মহম্মদ ইউনুসের তুলনা করলেন এপার বাংলার নির্বাচিত প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এদিন শুভেন্দু তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছেন। সেই পোস্টের সঙ্গে রয়েছে – দু’টি ছবি, একটি ভিডিয়ো এবং কিছু কথা রয়েছে লিখিত আকারে। সংশ্লিষ্ট ছবি ও ভিডিয়ো যোগেশচন্দ্র কলেজের। যেখানে এদিন পুলিশ পাহারায় সরস্বতী পুজো করা হয়!
ছবি ও ভিডিয়োর ক্যাপশনে শুভেন্দু লিখেছেন – “কোনটা যশোর, রংপুর, ঢাকা আর কোনটা কলকাতা, বেলডাঙা, ডায়মন্ড হারবার বুঝতেই পারবেন না। ওপার বাংলা আর এপার বাংলাকে মিলিয়ে দিলেন মহম্মদ ইউনুস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশকে অনুকরণ করে সশস্ত্র বাহিনীর নিরাপত্তায় পুজোর রেওয়াজ এপার বাংলায় চালু করালেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজ ক্যাম্পাসে পুজো হচ্ছে, না সন্ত্রাসবাদী হামলা প্রতিরোধের মহড়া চলছে বোধগম্য হচ্ছে না।”
প্রসঙ্গত, বর্তমান মহম্মদ ইউনুসের জমানায়, এমনকী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীনও বহুবার বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের পুজোর আয়োজন করতে গিয়ে সমস্যায়, এমনকী কট্টরপন্থীদের হামলার মুখে পড়েছেন সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুরা। এদিনের পোস্টে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে পশ্চিমবঙ্গেও বাংলাদেশের সেই অপসংস্কৃতি আমদানি করার অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু। এখানেই না থেমে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বার্তা, হিন্দুরা বর্তমানে বাংলাদেশে যেমন অসুরক্ষিত, তেমনই পশ্চিমবঙ্গেও হিন্দু সংস্কৃতির উপর আক্রমণ করার চেষ্টা চলছে। এবং এর জন্য ‘তুষ্টিকরণের রাজনীতি’কেই দায়ী করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
বাংলার বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, “সনাতন সংস্কৃতির ওপর আঘাত হানা বাংলাদেশে যতটা সহজ, পশ্চিমবঙ্গেও সেই কুরুচিকর ধারার আমদানি আগেই করা হয়েছিল তুষ্টিকরণের রাজনীতিকে বলিষ্ঠ করার উদ্দেশ্যে।”
একইসঙ্গে, শুভেন্দুর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গে এমন আরও অনেক ঘটনা ঘটতে পারে! তাঁর কথায়, “এ তো সবে শুরু, এখনো অনেক দেখা বাকি আছে…!”