সুমনা মিশ্র। কলকাতা সারাদিন।
চিকিৎসাব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে এবং ওষুধ কোম্পানিগুলির সঙ্গে চিকিৎসকদের অনৈতিক যোগসাজশ রুখতে কেন্দ্রীয় সরকার এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। এবার থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের হাসপাতালগুলিতে মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভরা (এমআর) আর সরাসরি চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। ডিরেক্টর জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিসেস (DGHS) এই নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে।
সরকারি হাসপাতালে এমআর-দের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার মূল কারণ হলো চিকিৎসকদের সঙ্গে ওষুধ কোম্পানিগুলোর অনৈতিক আর্থিক লেনদেন এবং উপহার আদান-প্রদান বন্ধ করা। অভিযোগ রয়েছে, অনেক সময়ই নির্দিষ্ট ওষুধ প্রেসক্রাইব করার বিনিময়ে চিকিৎসকরা ওষুধ কোম্পানিগুলো থেকে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা গ্রহণ করেন, যা চিকিৎসা পেশার নৈতিকতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়। এই ধরনের চর্চা বন্ধ করে রোগীদের প্রতি চিকিৎসকদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতেই এই কড়া পদক্ষেপ।
নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, যদি কোনো ওষুধ কোম্পানি তাদের চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো তথ্য বা ওষুধের বিষয়ে জানাতে চায়, তবে তাদের সরাসরি ইমেলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হবে। এর অর্থ হলো, ওষুধের প্রচার বা তথ্য বিনিময়ের জন্য আর কোনো এমআর সরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করতে পারবেন না।
কেন্দ্রের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই নিয়ম অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে। সরকারের এই উদ্যোগকে চিকিৎসা ব্যবস্থায় বৃহত্তর স্বচ্ছতা আনার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই পদক্ষেপের ফলে সাধারণ মানুষ ন্যায্য মূল্যে সঠিক ওষুধ পাবে এবং চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন প্রভাবিত হবে না বলে আশা করা হচ্ছে।

এই নতুন নিয়ম চিকিৎসা পেশার নৈতিক মানদণ্ডকে উন্নীত করবে এবং রোগী ও চিকিৎসকদের মধ্যে আস্থার সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।