সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা। শোনা যাচ্ছে গোপনে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দেশে নয় বিদেশের মাটিতে চুপিসাড়ে চার হাত এক হয়েছে। পাত্র কে জানেন? পাত্র হলেন প্রাক্তন সাংসদ এবং ওড়িশার বিজু জনতা দলের নেতা পিনাকী মিশ্র।
পুরীর চারবারের সাংসদ এই পিনাকী। জানা গিয়েছে,ওড়িশার বাসিন্দা পিনাকী। পেশায় আইনজীবী। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ছিলেন তিনি।
কলেজ জীবন থেকেই রাজনীতিতে আসেন।
কার গলায় মালা দিলেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র?
৫১ বছরের মহুয়া এবং ৬৫ বছরের পিনাকী—দু’জনেরই এটা দ্বিতীয় বিয়ে। সম্পর্ক বহুদিনের, কিন্তু তাঁকে আইনি স্বীকৃতি দিলেন এবার। মহুয়ার ঘনিষ্ঠ মহল এই বিয়ের খবর জানতেন বটে, তবে সর্বসমক্ষে এল তা শুক্রবার বার্লিনের ব্রেনডেনবার্গ গেটের কাছে।
বিশেষ নজর কেড়েছে নবদম্পতির সাজ। ঘিয়ে ও পিঙ্ক রঙের শাড়ি ও গয়নায় মোহময়ী মহুয়া, আর পাশে সাদা কুর্তা-পাজামা ও জহর কোটে পিনাকী—দু’জনের পোশাকেও ছিল রঙের মিল। বহুদিন ধরেই বলিউড তারকাদের মধ্যে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং ট্রেন্ড। কিন্তু ভারতের রাজনীতিতে এ ছবিটা প্রায় অচেনা।

১৯৯৬ সালে শুরু কওরে সংসদীয় কেরিয়াত। তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ব্রজ কিশোর ত্রিপাঠীকে সরিয়ে সংসদে পা রাখেন। প্রথম পুরী লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ হন।

এরপর ফের ২০০৯ সালে বিজেডির টিকিটে ফের ওই কেন্দ্র থেকেই জয়ী হন পিনাকী। টানা দশবছর ২০১৯ সাল পর্যন্ত পুরীর সাংসদ ছিলেন তিনি। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে আর লড়েননি তিনি। শোনা গিয়েছে এটি পিনাকীর দ্বিতীয় বিয়ে।

আগের পক্ষের দুই সন্তান রয়েছে তাঁর। উল্লেখ্য, অন্যদিকে মহুয়া মিত্রের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। আগে লার্স ব্ররসন নামক এক ড্যানিশ ব্যাঙ্কারকে বিয়ে করেছিলেন মহুয়া। কিন্তু সে বিয়ে টেকেনি। বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়।