সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
“প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘সবকে সাথ সব কা বিকাশ’ এর নেপথ্যে বেকার যুব সমাজের হাহাকার।” এভাবে এই রাজ্য সভায় কেন্দ্রীয় বাজেটের সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে উঠে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অর্থনীতি নিয়ে কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের পেশ করা বাজেটে একাধিক খুঁত ধরে সরব হন রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তিনি রাজ্যসভায় বলতে গিয়ে, বিমায় ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের প্রসঙ্গও টেনে আনেন। এত বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ তোইরি করা হচ্ছে কিন্তু স্বাস্থ্য ও জীবনবিমায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৮ শংতাংশ জিএসটিতে ছাড়ের অনুরোধ নিয়ে চুপ সরকার। আদতে কেন্দ্র মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করার থেকেও লাভের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের পিএম প্যাকেজ এবং বেকারত্বের সমস্যা নিয়ে কি পদক্ষেপ তা সম্পর্কেও তথ্য তুলে এনে মন্তব্য করেন তিনি।
রাজ্যসভায় সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমেই মমতার সাফল্যমণ্ডিত বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের প্রসঙ্গও তোলেন। তিনি জানান, বিগত সপ্তাহেই বাংলার বাণিজ্য সম্মেলন রাজ্যের জন্য নতুন পথের দিশা এনেছে। সম্মেলনে সামিল হয়েছে ৪০টি দেশ। নতুন বিনিয়োগ এনেছে রাজ্যের জন্য এই বিশ্ববাংলা সম্মেলন। প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করেছে এই বাণিজ্য সম্মেলন। এই বাণিজ্য সম্মেলনে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শিল্পপতি বলেছেন, অর্থনীতি এবং বাণিজ্যে নবজাগরণের সাক্ষী হতে চলেছে বাংলা। বাংলাকে কোনও শক্তিই আর আটকাতে পারবে না।
সদ্য পেশ করা কেন্দ্রের বাজেটে বাংলার প্রতি বঞ্চনা নিয়ে বারবার সরব হয়েছে তৃণমূল। এবার রাজ্যসভাতেও শোনা গেল একই সুর। সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বকেয়া টাকা বাংলার মানুষের মধ্যে যে প্রতিবাদের ঝড় তুলছে তার ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যসভায়। শত চ্যালেঞ্জকে হার মানিয়ে মমতার বিকল্প পথকে অবলম্বন করে বাংলা লড়াই জারি রাখবে বলেও জানান ঋতব্রত।
পাশাপাশি তিনি কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, আদতে রাজনৈতিক স্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকানোর ক্ষমতা নেই কেন্দ্রের। মমতার সুশাসনের সমকক্ষ হওয়ার ক্ষমতাও নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সমকক্ষতাও করতে অসফল কেন্দ্র। সে কারণেই বারবার বাংলাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। কেন্দ্রের এই বাংলাকে বঞ্চিত করার তালিকা যত বাড়বে ততই রাজ্যের মানুষ যুদ্ধের ডাক দেবে। যত বঞ্চনাই হোক না কেন বাংলার মানুষ মাথা নত করবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথেই চলবে বিকল্পের লড়াই।