রাহুল সিংহ মজুমদার। কলকাতা সারাদিন।
মিশরের রানী ক্লিওপেট্রা নাকি নিজের যৌবন ধরে রাখতে নিয়মিত বীর্য পান করার পাশাপাশি মুখে ও শরীরে মাখতেন সক্ষম পুরুষদের বীর্য।
নিউইয়র্কের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের মানসিক অবস্থার উপর পুরুষের বীর্যের প্রভাব থাকতে পারে। এই গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, যারা অনিরাপদ সম্পর্কে লিপ্ত হন তাদের মধ্যে বিষণ্ণতার লক্ষণ তুলনামূলকভাবে কম পাওয়া গেছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, বীর্যে উপস্থিত বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান, যেমন ইস্ট্রোজেন, অক্সিটোসিন, এবং অন্যান্য উপাদান, মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়ক হতে পারে।
গবেষণার প্রধান ফলাফল:
ইস্ট্রোজেন ও অক্সিটোসিন:
এই হরমোন ও রাসায়নিকগুলো নারীদের মানসিক অবস্থার উন্নতি, স্ট্রেস কমানো এবং পারস্পরিক ভালোবাসা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। অক্সিটোসিন, যা ‘লাভ হরমোন’ নামেও পরিচিত, আবেগগত সম্পর্ককে দৃঢ় করতে এবং মানসিক অবস্থার উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অনিরাপদ সম্পর্ক:
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা কনডম ব্যবহার করেননি, তারা তুলনামূলকভাবে মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন এবং তাদের বিষণ্ণতার লক্ষণ কম ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, বীর্যের রাসায়নিক উপাদানগুলো এই অবস্থায় সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
বেক ডিপ্রেশন ইনভেন্টরি:
এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী নারীরা তাদের বিষণ্ণতার লক্ষণ মূল্যায়ন করেন। দেখা গেছে, যারা অনিরাপদ সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন, তাদের বিষণ্ণতার লক্ষণ তুলনামূলকভাবে কম ছিল। বীর্যের সংস্পর্শে আসা স্বাস্থ্য উপকারিতা এনে দিতে পারে বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে, এই গবেষণা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে তুলে ধরলেও, এর জন্য আরও গভীর গবেষণার প্রয়োজন। বীর্যের রাসায়নিক উপাদানগুলোর শরীর ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর সম্পূর্ণ প্রভাব বোঝার জন্য আরও বিস্তারিত গবেষণা ও বিশ্লেষণের প্রয়োজন।