সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
নয়া সাল শুরু হতে না হতেই পরিবর্তন আনা হয়েছে সরকারি স্মল সেভিংস স্কিমের সুদের হারে। তাহলে এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ), সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা (এসএসওয়াই) এবং সিনিয়র সিটিজেনস সেভিংস স্কিম (এসসিএসএস)-এর আওতায় কত সুদ পাবেন গ্রাহকরা? আজকের প্রতিবেদনে সেটাই জেনে নেওয়া যাক বিশদে।
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ):
এটিও জনপ্রিয় সরকারি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ মাধ্যমগুলির মধ্যে অন্যতম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পিপিএফ বিনিয়োগকারীদের একটি প্রতিযোগিতামূলক সুদের হার প্রদান করে। চক্রবৃদ্ধি সুদের হারের এই বিনিয়োগের উপর বড়সড় রিটার্ন পাওয়া যায়। পিপিএফ স্কিমের প্রধান সুবিধা হল, জাতীয় আয়কর আইন অনুযায়ী, এই স্কিম থেকে প্রাপ্ত সুদ এবং রিটার্নের উপর মেলে করছাড়। পিপিএফ স্কিমের মেয়াদ ন্যূনতম ১৫ বছর। আর এই স্কিম পছন্দ হলে তা আরও ৫ বছরের জন্য বাড়ানো যেতে পারে। পিপিএফ অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ৫০০ টাকা এবং প্রতি অর্থবর্ষে সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যেতে পারে। বিনিয়োগকারীরা প্রতি বছর কিংবা মাসে মাসে এই টাকা দিতে পারেন। এই স্কিমের আওতায় ৭.১ শতাংশ হারে বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি সুদের হার প্রদান করে সরকার।
সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা (এসএসওয়াই):
২০১৫ সালে নিজেদের বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও উদ্যোগের একটি অংশ হিসাবে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা প্রকল্প চালু করেছিল সরকার। চাইলে বিনিয়োগকারীরা পোস্ট অফিস কিংবা ব্যাঙ্কে গিয়ে কন্যাসন্তানের নামে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। এই স্কিমে ৮.২ শতাংশ হারে সুদ দেয় সরকার।
সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম (এসসিএসএস):
প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বিনিয়োগের অত্যন্ত জনপ্রিয় মাধ্যম হল সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম (এসসিএসএস)। এই স্কিমের অধীনে এখন জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে টাকা রাখলে ৮.২ শতাংশ হারে সুদ পেয়ে যাবেন গ্রাহকরা।
বলে রাখা ভাল যে, ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সীরা একটি এসসিএসএস অ্যাকাউন্টে ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন। এই স্কিমে তাঁরা ন্যূনতম ১০০০ টাকা জমা বা এককালীন বড় তহবিল জমা দিতে পারেন।
এই স্কিমের মেয়াদ এমনিতে ৫ বছর। আর মেয়াদপূর্তির পর আরও ৩ বছর মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের মাধ্যম। তবে মেয়াদপূর্তির আগে টাকা তুলে নিলে তার জন্য জরিমানা গুনতে হবে।