ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী, বাংলাদেশ।
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। রোববার (৬ জুলাই) সকাল ১০টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর চৌধুরী রফিকুল আবরার।
সকালে প্রশাসন ভবন-১ এর সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে দিনটি উদযাপন শুরু হয়। এরপর বের হয় এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, যাতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অসংখ্য মানুষ অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, ১৯৫৩ সালের ৬ জুলাই মাত্র ১৬১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল দেশের অন্যতম প্রাচীন এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠার ৭১ বছর পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সব লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। শিক্ষার্থীদের খাবার, আবাসন, গবেষণা, চিকিৎসাসহ নানা খাতে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এসব সমাধান করে আন্তর্জাতিক মানের বিদ্যাপীঠে উন্নীত করার চেষ্টা চলছে। ২৪ এর বিপ্লবের হাত ধরে সেই অগ্রযাত্রাকে আরো ত্বরান্বিত হবে বলে আশা করেন আলোচকরা।
শহীদ ড. শামসুজ্জোহার স্মৃতিবিজড়িত এই বিদ্যাপীঠের রয়েছে গৌরব-ঐতিহ্যের সুদীর্ঘ ইতিহাস। বর্তমানে পরিসর বেড়ে ১২টি অনুষদের আওতায় ৫৮টি বিভাগে চার বছর মেয়াদি স্নাতক এবং এক বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তরে প্রায় ৩৮ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। এমফিল ও পিএইচডিসহ উচ্চতর গবেষণার জন্য রয়েছে ৬টি ইন্সটিটিউট। রয়েছেন প্রায় হাজার উপরে শিক্ষক।
উদ্বোধনী বক্তব্যে শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উপস্থিত হতে পেরে আমি আনন্দিত। এই আয়োজনে আমন্ত্রণ জানানোয় আয়োজক ও মাননীয় উপাচার্যকে ধন্যবাদ জানাই। দেশের উচ্চশিক্ষায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অনস্বীকার্য। তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে এ ধরনের আয়োজনে যুক্ত হয়ে আমি উৎসাহিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘আশা করি সবাই মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে আরও সুন্দর ও সমন্বিত করে গড়ে তুলতে পারব। এ বিশ্ববিদ্যালয় যেন তার দায়িত্ব ও লক্ষ্য নিয়ে আরও বহু বছর এগিয়ে যেতে পারে এই কামনা করি।’
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।