শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা নিয়ে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, “যখন উগ্রপন্থীরা কোনো বিভেদ করে না হিন্দুদের মধ্যে, তখন আমরা কেনো জাত-পাত, ভাষা, আঞ্চলিক জাত্যভিমান, প্রাদেশিক পরিচিতি, খাদ্যাভ্যাস, সংস্কার, সংস্কৃতি, উদারপন্থা, মধ্যপন্থা, দক্ষিণপন্থা ইত্যাদি শ্রেণীতে বিভক্ত থাকবো? সময় এসেছে বোঝার:-নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান,মুছে ফেলো সীমারেখা, সব ব্যবধান, উপলব্ধি করো সব হিন্দুরাই এক সমান। পহেলগাঁওয়ের উপত্যকায় কোনো বাঙালি, ওড়িয়া, মারাঠী, কন্নড়, হরিয়ানভি, তামিল, মালায়ালিকে হত্যা করা হয়নি। হত্যা করা হয়েছে হিন্দুদের। কাশ্মীর, পশ্চিমবঙ্গ কিংবা বাংলাদেশ, একটাই লক্ষ্য; হিন্দুদের বেছে বেছে করতে হবে শেষ। যখন হিন্দুদের বিরুদ্ধে শত অপকর্ম, তখন ধর্মই হোক আমাদের একমাত্র বর্ম।সময় এসেছে বোঝার তাই,ভণিতা ছেড়ে বলো.. ‘হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই।”
এরপরে কার সঙ্গে বেছে বেছে হিন্দুদের উপরে হামলা চালানো হয়েছে বলেও বিষ্ফোরক অভিযোগ করে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে কলকাতার রাজপথে মোমবাতি মিছিল করেন শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে মৌলালি থেকে শিয়ালদহ শ্রদ্ধার্ঘ্য মিছিল শুভেন্দু অধিকারীর। কাশ্মীরে মুর্শিদাবাদের মতোই হিন্দু নিধন হয়েছে বলে দাবি বিরোধী দলনেতার। শ্রদ্ধার্ঘ্য মিছিল থেকে শুভেন্দু বলেন, “পহেলগাঁওতে গোটাটাই হিন্দু নিধন হয়েছে। বিতান অধিকারীর স্ত্রী বলেছেন হিন্দু কিনা জিজ্ঞেস করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে। কলমা পড়তে বলা হয়েছিল। হিন্দু হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই কলমা জানার কথা নয়। তারপরই গুলি চালিয়ে মেরে দিয়েছে। সমীর গুহর স্ত্রী বলেছেন স্বামীর হাতে লাল ডোর ছিল, হিন্দু বলে তাই মেরে দিয়েছে। মণীশের ভাইও একই কথা বলেছেন।” বিরোধী দলনেতার আহ্বান, “জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে রাজ্যের রাষ্ট্রবাদী সনাতনীরা কালো ব্যাজ লাগিয়ে জাতীয় পতাকা নিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হন। রাজনৈতিক দলের ডাকের অপেক্ষায় থাকবেন না।” তাঁর কথায়, মুর্শিদাবাদ ও কাশ্মীরে একই মডেল। মহিলা শিশুদের সরিয়ে রেখে খুন করা হয়েছে। রাজনীতি পরে হবে, নির্বাচন অনেক দূরে। আগে আমরা সনাতনী, আমরা বদলা চাই। জঙ্গিদের ঝাঁঝরা করে দিক ভারতীয় সেনা।আরামবাগে তৃণমূল অমিত শাহের কুশপুতুল পুড়িয়েছে। তাহলে হরগোবিন্দ দাস, চন্দন দাসের খুনের জন্য মমতাকে কী করা উচিত বলুন? মডেল এক, কাশ্মীর যা, মুর্শিদাবাদ তা। লড়াই থেকে হাইকোর্ট থেকে অর্ডার নিয়েছি। একবার নয়, পাঁচবার যাব ধুলিয়ান – সামশেরগঞ্জে। অর্ডার আপলোড হলে ২৪ ঘণ্টা আগে যাওয়ার ব্যাপারে জানাতে হবে। সরকার একজনকেই বাধা দিচ্ছিল, সে শুভেন্দু অধিকারী। তার মানে আমরা ঠিক পথেই এগোচ্ছি।”

বিরোধী দলনেতা শেষে বলেন, “কাশ্মীরে হিন্দু নিধনের কারণ ভারতকে চ্যালেঞ্জ করা ও মোদীকে চ্যালেঞ্জ করা। ভারত এর মোক্ষম জবাব দেবে। আগের মতোই অন্দর ঘুস কে মারেগা হবে এবারও। মৃতদের পরিবারের পাশে রয়েছি। বিতান অধিকারীর স্ত্রী অনেককিছু চেয়েছেন। বাচ্চার দায়িত্ব নিতে বলেছেন, নিয়েছি। এটা ধর্মযুদ্ধ। ইজরায়েল যেমন গাজাকে সাফ করে দিয়েছে, তেমনই করা উচিত। জয় নেতানিয়াহু!”