সুষমা পাল মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
“প্রতি বছর শপিং ফেস্টিভ্যাল করুন,ভাল করে করুন। বাংলার সম্মানকে তুলে ধরুন। যারা বাংলার সম্মানকে ভু-লুণ্ঠিত করছেন তাদের জন্য নয়। মনে রাখবেন, বাংলা সবার উপরে। বাংলার একদিকে শস্য ক্ষেত্র ডুবে গেছে তাদের সাহায্য করতে হবে। আমরা তাদের পাশে আছি। তাড়াতাড়ি বন্যার জল থেকে মানুষ শান্তি পাক। দুর্ভোগ কাটানোর প্রার্থনা সকলে করবেন।” বেঙ্গল শপিং ফেস্টিভ্যালের উদ্ধোধনে আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলা নিজস্ব কুটির শিল্প এবং বিভিন্ন ধরনের স্টিল থেকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্য শুরু হলো বেঙ্গল শপিং ফেস্টিভ্যাল। বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজোর আগে দুবাইয়ের ( Dubai Shopping Festival ) ধাঁচে এ ধরনের শপিং ফেস্টিভ্যাল শহরে এই প্রথম।
শুক্রবার তার ভারচুয়াল উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্থ উপদেষ্টা অমিত মিত্র। মুখ্যমন্ত্রী মেলার ভারচুয়াল উদ্বোধন করে বলেন, পুজোর আগে গ্রামবাংলার অর্থনৈতিক বিকাশে এ ধরনের ফেস্টিভ্যাল খুবই উপযোগী হবে। মিলনমেলা প্রাঙ্গনে মোট ৪৩০ টি স্টল রয়েছে। এই মেলা চলবে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
আরজি কর নিয়ে বিক্ষোভের আবহে কিছু দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুরোধ করেছিলেন উৎসবে ফিরতে। শুক্রবার আরও একবার পুজোর গুরুত্ব মনে করিয়ে দিতে চাইলেন রাজ্যবাসীকে। মমতা বললেন, “গ্রামের লোকেরা পুজোর মাধ্যমে নানা রকম জিনিস বিক্রি করেন। নানা রকম কর্মক্ষমতার মধ্যে দিয়ে প্যান্ডেল তৈরি করেন। আদিবাসী নৃত্য থেকে শুরু করে সমস্ত কেনা বেচার নানারকম সুযোগ পান। এই সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি পুজো কমিটিগুলোর কাছে আবেদন জানাব।”
তিনি আরও বলেন, “যেহেতু বর্ষার কয়েকটা দিন ব্যবসার ক্ষতি হয়েছে, তাই আমি ছোট ছোট হকার থেকে শুরু করে ছোট থেকে বড় দোকানদার যাঁরা পুজোকে কেন্দ্র করে সারা বছরেরে উপার্জন করেন, তাঁদের যাতে একটা রাস্তা খুলে যায় সেই কথা ভাবতে হবে। তাঁদের আয় যাতে বাড়ে এবং গরিব মানুষরা যাতে সুযোগ পান,এবং ক্রেতারা যাতে সামগ্রিক কেনাকাটার ব্যাপারে সামগ্রিক সুযোগ পান সেই জন্য এক ছাদের তলায় এটা করা হয়েছে।”
কেনাকাটায় সবাইকে উৎসাহিত করতে মমতা বলেন, “বেঙ্গল শপিং ফেস্টিভ্যালের সাফল্য কামনা করি। সঙ্গে সঙ্গে বলব, সেল্ফ হেল্পগ্রুপগুলোকে বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে স্টল দিতে। ছোট ছোট স্টল থাকলে মানুষজন কেনাকাটা করতে পারবেন। এতে বিক্রেতাদের ইনকাম হবে, ক্লাবগুলোরও ইনকাম হবে।”