ব্রেকিং
Latest Posts
KMC Road Extension Kolkata : চওড়া হচ্ছে কলকাতার রাস্তা, যানজটে নাকাল কলকাতাবাসীর সুবিধার্থে চওড়া হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি রাস্তাCalcutta Highcourt SSC tainted list : ‘চিহ্নিত অযোগ্যদের নাম ইন্টারভিউ এর তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে’ স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টেরSuvendu attacks Mamata on SIR panic : ‘তৃণমূলের একটা নতুন রোগ হয়েছে, এসআইআর আতঙ্ক এবং আত্মহত্যা রোগ’ মমতাকে তীব্র কটাক্ষ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুরOdisha Bengali migrant detention : ওড়িশায় বাংলায় কথা বলায় আটক ১০ বাঙালি হকার! মমতার সাহায্য প্রার্থনা—বিতর্কে ডাবল ইঞ্জিন সরকারSIR BLO Suicide Mamata Reaction : এসআইআর চাপের জেরে বিএলও আত্মহত্যা, কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশনকে কড়া আক্রমণ মমতার
  • Home /
  • বাংলাদেশ /
  • Rajshahi UNO : ঘুসের ইটে আশ্রয়ণ প্রকল্পর নির্মাণ করছে পবা ইউএনও’র ভাই

Rajshahi UNO : ঘুসের ইটে আশ্রয়ণ প্রকল্পর নির্মাণ করছে পবা ইউএনও’র ভাই

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী, বাংলাদেশ। গ্রাম থেকে চাচাতো ভাইকে এনে প্রায় কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ করাচ্ছেন রাজশাহীর পবা উপজেলার ইউএনও আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত। এরমধ্যে ৯১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩০টি ঘর নির্মাণ করাচ্ছেন। এতে....

Rajshahi UNO : ঘুসের ইটে আশ্রয়ণ প্রকল্পর নির্মাণ করছে পবা ইউএনও’র ভাই

  • Home /
  • বাংলাদেশ /
  • Rajshahi UNO : ঘুসের ইটে আশ্রয়ণ প্রকল্পর নির্মাণ করছে পবা ইউএনও’র ভাই

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী, বাংলাদেশ। গ্রাম থেকে চাচাতো ভাইকে এনে প্রায় কোটি টাকার প্রকল্পের....

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
X
Threads
Telegram

আরও পড়ুন

ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী, বাংলাদেশ।

গ্রাম থেকে চাচাতো ভাইকে এনে প্রায় কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ করাচ্ছেন রাজশাহীর পবা উপজেলার ইউএনও আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত। এরমধ্যে ৯১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩০টি ঘর নির্মাণ করাচ্ছেন। এতে অন্তত অর্ধেক টাকা লুটপাট হচ্ছে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ঘরগুলো নির্মাণের ইট একটি ভাটায় পুকুর কাটতে দেওয়ার জন্য ঘুস হিসেবে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া ডরমেটরি এবং শিল্পকলা একাডেমি অফিস সংস্কারের কাজও করছেন ইউএনওর চাচাতো ভাই রাজীব রনক।

পবা উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের এই ঘর নির্মাণ দরপত্র প্রক্রিয়া ঠিকাদারের মাধ্যমে হয় না। একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনই কাজটি বাস্তবায়ন করে। এই কমিটির আহ্বায়ক ইউএনও। আর সদস্য সচিব থাকেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)। এছাড়া কমিটিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের থাকার কথা। কিন্তু কমিটি ছাড়াই একাই চাচাতো ভাইকে নিয়ে কাজ করছেন ইউএনও আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত। নির্মাণ শেষ হতে চললেও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির কোনো সভা হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পবা উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায় অনেক আগেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩০টি ঘর নির্মাণ হয়েছিল। ঘরগুলো ছিল টিন দিয়ে তৈরি। এগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাওয়ায় ইট দিয়ে বাড়ি তৈরির প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের অর্থ দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। প্রতিটি বাড়ির জন্য বরাদ্দ ৩ লাখ ৫ হাজার টাকা। গত অর্থবছরের এই কাজ শুরু হয়েছে চলতি বছরের জুন মাসে। বর্তমানে কাজ প্রায় শেষের দিকে। তবে নিম্নমানের কাজ হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়েও অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।

বৃহস্পতিবার ( ১২ সেপ্টোম্বর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পিলারের ওপরের অংশে শুধু একটি করে রড দেখা যাচ্ছে। পিলারের নিচে পুটিং ঢালাই দেওয়ার নিয়ম থাকলেও সেটিও করা হয়নি। নির্মাণের কিছুদিনের মধ্যেই এসব পিলার ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, নিম্নমানের কাজ তারা দেখছেন। ঘরগুলো নির্মাণে বরাদ্দের অন্তত অর্ধেক টাকা লুটপাট হচ্ছে। কিন্তু ইউএনওর চাচাতো ভাই রাজীব রনক কাজ করছেন বলে তারা প্রতিবাদ করার সাহস পান না।

উপজেলা প্রশাসনের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইউএনও আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাতের গ্রামের বাড়ি নওগাঁর আত্রাই উপজেলায়। প্রায় একবছর আগে তিনি পবার ইউএনও হিসেবে যোগ দেন। এর কিছুদিন পরই তিনি গ্রাম থেকে চাচাতো ভাই রাজীব রনককে আনেন। রনক এখন উপজেলা ক্যাম্পাসে ইউএনওর সরকারি বাসভবনেই থাকেন। ইউএনও সব নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ তার চাচাতো ভাইকে দিয়েই করান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, কাশিয়াডাঙ্গার ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩০টি ঘর নির্মাণের জন্য ইটও ঘুস নেওয়া হয়েছে পবার হরিয়ান এলাকার একটি ইটভাটা থেকে। ওই ইটভাটার ভেতর মালিক এবং অন্য এক ব্যক্তিকে তিনটি পুকুর খনন করতে দেওয়ার বিনিময়ে ওই ইট ঘুস নেওয়া হয়। ইট ঘুস দিয়ে এরইমধ্যে ওই ভাটার ভেতরে আইন লঙ্ঘন করে একটি পুকুর কাটা শেষ হয়েছে। তবে যোগাযোগ করা হলে ইটভাটার মালিক মো: রুনু মোবাইল ফোনে এ বিষয়ে কথা বলতে চাননি।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো নির্মাণের ব্যাপারে ইউএনওর চাচাতো ভাই রনক জানান, ঘরগুলো তিনিই নির্মাণের কাজ করছেন। এই কাজের সঙ্গে অন্য কেউ নেই। পরে পরিচয় দিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে রনক বলেন, চাচাতো ভাইয়ের কাছে বেড়াতে এসে তিনি শুধু কাজটি দেখাশোনা করছেন।

নিম্নমানের কাজের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা কর্মকর্তারা দেখবেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পের এই ৩০টি ঘর নির্মাণের বিষয়ে কোনো সভা হয়েছে কি না জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু বাশির কোনো মন্তব্য করতে চাননি। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি হয়েছে কি না সে বিষয়েও তিনি কোনো কথা বলবেন না বলে জানিয়েছেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি হলে এই কর্মকর্তারই সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালনের কথা।

প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি বাদ দিয়ে চাচাতো ভাইকে দিয়ে কাজ করানোর বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত জানান, এটা সত্য নয়। কাজ কমিটির মাধ্যমেই করা হচ্ছে। চাচাতো ভাই কাজ করবে কেন? ও কিছুদিনের জন্য বেড়াতে এসেছে। কাজ করছে মিস্ত্রি।ডরমেটরি ও শিল্পকলা একাডেমি সংস্কার চাচাতো ভাইকে দিয়ে করানোর অভিযোগের বিষয়ে ইউএনও বলেন, ‘এটাও সত্য না। কে বলেছে এসব কথা?’

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদকে ফোন করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘কাজটা যদি ঠিকাদারের মাধ্যমে হতো এবং ইউএনওর চাচাতো ভাই যদি যোগ্যতাসম্পন্ন বৈধ ঠিকাদার হতেন তাহলে কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু যেহেতু কাজটা দরপত্র প্রক্রিয়ায় ঠিকাদারের মাধ্যমে হচ্ছে না, সেহেতু তিনি চাচাতো ভাইকে দিয়ে কাজ করাতে পারেন না। এ বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া গেলে আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

আজকের খবর