রাহুল সিংহ মজুমদার। কলকাতা সারাদিন।
“এবার উৎসবে ফিরছি কি ফিরছি না, এটা যার যার পছন্দ। এটা নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। আমার কেন, কারোর বলা উচিত নয়। তবে হ্যাঁ প্রযোজক হিসেবে আমি আশা করব, কারণ আমারও তো অর্থ লেগেছে। আমার বাবা তো এত টাকা রাখেনি যে একটা ছবি চললেও কিছু যায় আসে না। খুব কষ্ট করে এই জায়গায় পৌঁছেছি। কাওকে কখনো অসম্মান করিনি। রাজনৈতিক মঞ্চে দাঁড়িয়েও না। তাই আমি ছবির ক্ষেত্রে, প্রযোজক হিসেবে বলব, তুমি সকাল থেকে রাত অবধি কী করছ আমার দেখার দরকার নেই। তবে হ্যাঁ প্রোমোশনে যখন আসবে, সেই কয়েকটা ঘণ্টা, এমন কোনো মন্তব্য রেখো না যেখানে আমার ছবির ক্ষতি হয়।” আর জি করের ঘটনার জেরে যেভাবে পরিচালক সৃজিত ও স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ক্রমাগত উৎসবে ফিরছি না বলে সাধারন মানুষকে খেপিয়ে তোলার কাজ করে গিয়েছেন তা আগামী দিনেও করে গেলে তার ছবি টেক্কার ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে সরাসরি জানিয়ে দিলেন অভিনেতা তথা তৃণমূল সংসদ দেব।
দেবের টেক্কা আসছে আগামী সপ্তাহে। যা নিয়ে ট্রোলিং আশেপাশে, কারণ এই ছবির অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘পুজোয় আছি, উৎসবে নেই’! এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন, তিনি যদি উৎসবে না-ই থাকেন, তাহলে কেন ছবির এমন একটা ছবির প্রচার করছেন, যার মুক্তিই পুজোতে।
এই নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুললেন টেক্কা ছবির অভিনেতা, প্রযোজক দেব। কুণাল ঘোষের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতাকে বলতে শোনা গেল, ‘আমি ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনাকে সম্মান করি। আমার আইডলজিকে তোমার উপর চাপাতে পারব না কখনোই। প্রত্যেক মানুষের আইডলজি আলাদা। ঘুম থেকে উঠে সে কী ভাবছে বা কী করছে তাতে আমার আগ্রহ নেই। বরং প্রযোজক হিসেবে সে শ্যুটে এসে কী করছে, নিজের দায়িত্ব পালন করছে কি না, তা দেখা আমার দায়িত্ব। আমি নাম নিয়েই বলছি, স্বস্তিকা বা সৃজিত, তাদের আমি যে দায়িত্ব দিয়েছিলাম, তাতে অসাধারণ কাজ করেছে।’
করোনা পরবর্তী সময়ে একাধিক বাংলা ছবি খরচের টাকাই ধরে তুলতে পারেনি। এদিকে সিঙ্গেল স্ক্রিনের সংখ্যা কমছে। স্ত্রী ২, জওয়ান, অ্যানিম্যালের মতো ছবি বাংলায় যে টাকার ব্যবসা করে, বাংলা ছবি বাংলায় তা করতে পারে না! যা নিয়ে বহু সময়ে তারকারা মুখ খুলেছেন। সেই কথাই উঠে এল দেবের মুখেও। তিনি বললেন, ‘আজকের দিনে বাংলা ছবি বানাতে ধক লাগে। একটা ছবির জন্য হল ভর্তি করতে, অনেক পরিশ্রম করতে হয়। ২০০-২৫০ টাকার টিকিট দিয়ে দর্শককে দু তিন ঘণ্টা হলে বসানো, খুব চাপের। এই যেমন তুমি বললে, ও বলেছে উৎসবে ফিরব না… ভুলে যান না দাদা-দিদি।’
সঙ্গে আরও জানালেন, ‘আমি সত্যি মাথা ঘামাই না, কে কী বলছে তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়ায়। আমি মাথা ঘামাই শুধু যদি আমার সিনেমার প্ল্যাটফর্মে এসে, তাঁরা সেটিকে ব্যবহার করে। কারণ সিনেমা চললে তাঁদেরও লাভ, আমারও লাভ, হলেরও লাভ। উৎসব শুধু আমার বা তোমার না, উৎসব একটা অধিকার। কাওকে তো বলা হচ্ছে না, তোমরা প্রতিবাদ কোরো না। করছে তো লোক প্রতিবাদ। আমরাও করছি। আমি চাই মানুষ ভালো থাক, সবাই যেন ভালো থাকে।’