পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমার চন্দ্রকোনা এক ব্লকের ৬/২ মনোহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদূর গ্রামে এক সময় চা, পান ও মুদির দোকানে পাওয়াযেত দেশি, বিদেশি ও চোলাই মদ। যার গ্রামের বেশিরভাগ পুরুষ মানুষ মদ খেয়ে বাড়িতে নিয়মিত অত্যাচার করত। যার স্বীকার হতেন বাড়ির মহিলারা। তাই ওই গ্রামে অশান্তির ঘটনা লেগেই থাকতো।
গ্রামের মহিলারা একজোট হয়ে বিষয় টি চন্দ্রকোনা টাউন থানায় লিখিত ভাবে জানায়। কিন্তু তার পরে ও চাঁদূর গ্রামে মদ বিক্রি বন্ধ হয় নি। এরই মধ্যে গত ৭ ই ফেব্রুয়ারী মদ খেয়ে পুকুরে পড়ে জলে ডুবে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। যার ফলে চাঁদূর গ্রামের মহিলারা একজোট হয়ে নেশা মুক্ত চাঁদূর গ্রাম গড়ে তোলার জন্য আন্দোলন গড়ে তোলেন।
সোনালী নায়েক, অপর্ণা দলুই এর নেতৃত্বে ওই গ্রামের মহিলারা গ্রামে মদ বিক্রি বন্ধ করার জন্য দোকানদার কে জানিয়ে দেন, সেই সঙ্গে গ্রামে কেউ মদ খেয়ে বাড়িতে এসে গন্ডগোল করলে তাকে ধরে ঠেঙ্গানো শুরু করে। ওই গ্রামে প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ পারিবারের বসবাস। তাই গ্রামের কেউ মদ খেলে তাদের পিঠে পড়ছে লাঠির মার। যার ফলে প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ মদ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
যে ১০ শতাংশ মানুষ এখনো মদ খাচ্ছেন তারা ওই প্রমিলা বাহিনীর ভয়ে আর গ্রামে প্রবেশ করতে পারছে না। ওই প্রমিলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয় যে গ্রামের কেউ মদ খেয়ে গ্রামে ঢুকলে তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চাঁদুর গ্রামের প্রমিলা বাহিনীর ওই কাজ কে সমর্থন জানিয়ে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস নিয়েছেন ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, চন্দ্রকোনা এক ব্লকের মনোহরপুর ৬/২ অঞ্চলের প্রধান মাধুরী সিং দোলই সহ প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা। তাই চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের মনোহরপুর ৬/২ গ্রামপঞ্চায়েত এর চাঁদূর গ্রামের কোন দোকানি আর তাদের দোকানে মদ রেখে বিক্রি করেনি। মদ দোকানে রাখলে তারা আর কোন ব্যবসা করতে পারবে না, তাদের ভয় প্রশাসনকে নয়, তাদের ভয় চাঁদুর গ্রামের প্রমিলা বাহিনীকে।