সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা। সেই কারণে আগাম ব্যবস্থা হিসেবে নানা ব্যবস্থা নিচ্ছে পূর্ব রেল। শিয়ালদহ রেল ডিভিশনের DRM দীপক নিগম বলেন, কলকাতায় ঝড়ের সম্ভাবনা আছে। এমারজেন্সি কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। একাধিক পাম্প নিয়ে আসা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে। বিভিন্ন স্টেশনের গাছ ট্রিম করা হয়েছে।
তাঁর সংযোজন, স্টেশন বিল্ডিংয়েই যেন থাকেন যাত্রীরা। সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তার জন্য পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে ঘোষণা হবে। কেউ যেন প্ল্যাটফর্ম শেডে না থাকে। ক্যানিং, ডায়মন্ড হারবার, নামখানা, কাকদ্বীপে সিগন্যান বিভাগের সিনিয়র আধিকারিকরা থাকবেন। এখানে মেডিক্যাল টিম থাকবে।
মোটরম্যানদের বলা হয়েছে, হাওয়ার বেগ বুঝে কন্ট্রোল রুমে জানাতে। যাতে ট্রেন নিয়ন্ত্রণ করা যায়। বিজ্ঞাপন বোর্ড বারবার পরীক্ষা করা হয়েছে। শিয়ালদহ সাউথে বৃহস্পতিবার রাত আটটায় শেষ ট্রেন ছাড়বে। এরপর বন্ধ থাকবে ২৫ তারিখ সকাল দশটা অবধি।
দক্ষিণ শাখার যে সব ট্রেন শিয়ালদহ আসবে তাদের প্রান্তিক স্টেশন থেকে শেষ ট্রেন সন্ধ্যা সাতটায় ছাড়বে। আবার পরের দিন সকাল ন’টায় ছাড়বে। ঝড়ের সময়ে কোনও ট্রেন লাইনে রাখা হবে না। সেন্ট্রাল কন্ট্রোল অফিস থেকে সব নজরদারি হবে।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ১৯০ লোকাল ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। দক্ষিণ শাখায় সবচেয়ে বেশি লোকাল বাতিল থাকছে।
দীপক নিগম আরও জানান, কানেক্টিভিটি যথাযথ রাখার জন্য রেল নিজে থেকেই কথা বলেছে ফোন প্রভাইডারদের সঙ্গে। একটা হেল্পলাইন নম্বর খোলা হচ্ছে। তবে আগামীকাল ট্রেন বন্ধ হওয়ার আগে, যাত্রী চাহিদা দেখে অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হবে।
সব মিলিয়ে ১৯০ লোকাল আপাতত বাতিল করল পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশন। শিয়ালদহ-ক্যানিং – ২৪, সোনারপুর-ক্যানিং – ৭, শিয়ালদহ – লক্ষ্মীকান্তপুর -২৫, শিয়ালদহ-বজবজ – ২৯, শিয়ালদহ – সোনারপুর – ১১, সোনারপুর-বারুইপুর – ২, শিয়ালদহ – বারুইপুর – ১৬, শিয়ালদহ – নৈহাটি – ২, লক্ষ্মীকান্তপুর – বারুইপুর – ৩, শিয়ালদহ – ডায়মন্ড হারবার – ৩০, লক্ষ্মীকান্তপুর – নামখানা – ১৯, শিয়ালদহ-হাসনাবাদ – ২০, সার্কুলার রেল – ২।