ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী, বাংলাদেশ।
রাজশাহীতেও উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাব গাম্ভীয মধ্যদিয়ে পালিত হচ্ছে ঈদ-উল-ফিতর। রাজশাহীর বিভিন্ন ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৮টায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে। ইমামতি করেন, নগরের রাজারহাতা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. কাওসার হোসাইন। তাকে সহযোগিতা করেন তেরোখাদিয়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম মোহাম্মদ সোয়েব হোসেন।
সকালে দলে দলে মুসল্লিরা বাহারি রঙের পাঞ্জাবী পড়ে মাথায় টুপি দিয়ে আসতে থাকে ঈদগাহ মাঠের দিকে। সব বয়সের মানুষের মাথায় বিভিন্ন রঙের টুপি ও অনেকের হাতে জায়নামাজ দেখা গেছে। যদিও ঈদগাহ মাঠে কার্পেট বিছানো হয়েছে। তারপরেও মুসল্লিরা রঙ-বেরঙের জায়নামাজ নিয়ে এসেছে ঈদগাহ মাঠে।
রাজশাহীর বিভাগী, জেলা ও সকল প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্মকর্তারা এখানে নামাজ আদায় করেন। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভাগের সকল স্তরের সর্বসাধারন মুসল্লী এখানে ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। সকাল থেকে হাজার হাজার মুসল্লী কেন্দ্রীয় এই ঈদগাহে নামাজের জন্য অংশহন করেন। এতে লোকে লোকারন্য হয়েওঠে ঈদগাহ প্রান্তর, কানায় কানায় পরিপূর্ণ্যহয় ঈগাহের প্রতিটি কাতার।
এর আগে, হাজারও মুসল্লির অংশগ্রহণে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মার মঙ্গল কামনায় দোয়া করা হয়। দোয়া শেষে মুসল্লিরা একে অপরের মধ্যে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় মুসল্লিরা একে অপরে কোলাকুলি করে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এদিন সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের দ্বিতীয় প্রধান জামাত মহানগর ঈদগাহ (টিকাপাড়া) অনুষ্ঠিত হয়। এখানে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৮টায়। আর সকাল সোয়া ৮টায় রাজশাহীর তৃতীয় বড় ঈদ জামাত হয় নগরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে। যেখানে প্রধান সড়কের ওপর ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজের পর দেশ ও জাতীর মঙ্গলকামনায় দোয়া করা হয়। ঈদের নামাজে অংশ গ্রহনকারি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা বর্তমানের মতো আগামীতেও ঐক্যের বাংলাদেশ অব্যাহত রেখে কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।