সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
“ভাবলো ১৪ দিন এরকম ভাবে নাচ গান করলেই, রাস্তায় ছবি আঁকলেই ভাবলো ১৪ তলায় উঠে সরকার গঠন করে দেবে এসব হয় নাকি।” মেডিকেল কলেজের ঘটনাকে সামনে রেখে সিপিএম এবং ভারতীয় জনতা পার্টির উস্কানিতে জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ মমতার সরকার ফেলার চক্রান্ত করছিল বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরজিকরের নির্যাতিতার বিচার চেয়ে আন্দোলনের নামে যখন সরকারি হাসপাতাল গুলিতে জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি চালিয়ে গিয়েছেন সেই সময়ে তাদের একটা বড় অংশ রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন বলে অভিযোগ করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই সমস্ত জুনিয়র ডাক্তাররা সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে রোগী দেখার সময় ঠিকঠাক করে চিকিৎসা না করে যে সমস্ত প্রাইভেট নার্সিংহোমে প্র্যাকটিস করে সেখানে রোগীদের পাঠিয়ে দিচ্ছে পকেট ভরানোর জন্য। আমি সরকারের কাছে আবেদন করবো হাসপাতালে সব লাইভ স্ট্রিমিং হয়। কোন ডাক্তার কি কাজ করছে, পেশেন্টদের ঠিকমত চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছে সে সব যেন আমরা দেখতে পাই। এমনকি সবকিছু পেশেন্ট পার্টিও যেন দেখতে পায়। নিজেরা হাসপাতালে কাজ করবে না, রোগীদের বড় বড় নার্সিংহোমে পাঠিয়ে দেবে। কিন্তু কোন সিনিয়র ডাক্তার এই পথে যায়নি। তারা জানে মানুষের পরিষেবা তাদের কাছে বড়। হঠাৎ করে কয়েকজন ছেলে মেয়ে বিপ্লব আরম্ভ করল। সব বন্ধ করে দেব।
জুনিয়র ডাক্তাররা যে সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতি চালানোর সময় রাজ্য সরকারের কাছ থেকে স্টাইপেন্ড নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে মোটা টাকার বিনিময়ে রোগী দেখেছেন সেই নিয়েও কয়েকদিন আগে তদন্তের দাবী জানিয়ে ছিলেন কল্যাণ। এই প্রসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ডাক্তারবাবুরা কাজে যোগ দিয়েছেন ভালো কথা। কিন্তু আমার প্রশ্ন, ৫৯ দিন ধরে কর্মবিরতি করলেন আবার ৩২ হাজার টাকা স্টাইপেন্ডও নিলেন কীভাবে? কাজ করলেন না অথচ হাজিরা খাতায় সই করলেন, এটা তো জালিয়াতি! বিপ্লবের নামে বাংলার মানুষের সঙ্গে তঞ্চকতা করলেন, এটা মেনে নেওয়া যায় না। এ আবার কী ধরনের কর্মবিরতি! কাজও করব না, আবার স্টাইপেন্ডও নেব, এটা ফ্রড। মানুষ জানুক একথা।
অন্যদিকে ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে একুশের বিধানসভা নির্বাচন অথবা ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ও বাংলার রাজনীতিতে সিপিএম যেভাবে শূন্যে পরিণত হয়েছে, তারপরেও শুধুমাত্র মমতার সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে সিপিএম বাংলার রাজনীতিতে ভেসে থাকার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করে কল্যাণ বলেন, পশ্চিমবঙ্গে আর অন্য কোন রাজনৈতিক দল নেই। সিপিএমকে দেখতে পান কোথাও? নির্বাচন হয় একটু নাটক করে, কেউ গান করে। গিটার বাজালে চলে গেল। আর কোথাও কিছু নেই। বিজেপির তো হাল খারাপ। লিখে রাখুন ২০২৬ বিজেপি ৩০ টাও সিট পাবে না।