সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
সিপিএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জির নেতৃত্বেই আর জি কর হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগ সহ বিভিন্ন অংশে ভাঙচুর চালিয়েছিল ডি ওয়াই এফ আই এর সমর্থকরা। এখনো পর্যন্ত তদন্তে এমনটাই জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সিবিআই। তাই আর জি কর ভাঙচুরের ঘটনায় এবার মীনাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করল সিবিআই।
মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে তলব করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। ১৪ অগাস্ট আর জি কর হাসপাতালে ভাঙচুরকাণ্ডের তদন্তে ডেকে পাঠানো হল মীনাক্ষীকে।কয়েকদিন আগেই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। সেই সময় CBI-এর দফতরে যেতে পারেননি মীনাক্ষী। আজ সকাল ১১টায় সিজিও-তে যাবেন DYFI-এর রাজ্য সম্পাদক।
গত ১৪ অগাস্ট যখন ‘রাতদখল’ চলছে, সেই সময় আর জি কর হাসপাতালে ধুন্ধুমার বাধে। বাইরে থেকে দুষ্কৃতীরা ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। ওই সময় ঘটনাস্থলে মীনাক্ষীর নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিল DYFI. সেই ভাঙচুরের ঘটনাতেই মীনাক্ষীকে তলব করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তাঁর বয়ান রেকর্ড করবেন বলেও জানা গিয়েছে। (RG Kar Case)
কয়েক দিন আগেই CBI-এর তরফে মীনাক্ষীকে একটি বার্তা পাঠানো হয়। ১৪ অগাস্ট রাতে আর জি করে যে ভাঙচুর চলে, সেই সময় আর জি কর চত্বরে ছিলেন মীনাক্ষীরা। সেই প্রসঙ্গ তুলেই মীনাক্ষীর সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তাঁকে দফতরে আসতে বলা হয়। কিন্তু সেই সময় মীনাক্ষী বাইরে ছিলেন, তাই জবাব দিতে পারেননি। আজ সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে কথা বলবেন গোয়েন্দাদের সঙ্গে।
আর জি কর হাসপাতালে তাণ্ডব নিয়ে ভিন্ন সুর রয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, বাম-রাম একসঙ্গে মিলে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় সোশাল মিডিয়ায় যা লেখেন, সেখানে না বাম, না বিজেপি। কাউকে সরাসরি দায়ী করেননি তিনি। উল্টে রাজনৈতিক রং না দেখে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নিতে পুলিশকে ২৪ ঘণ্টার সময়ও বেঁধে দেন।
উল্লেখযোগ্য ভাবে অভিষেকের সেই মন্তব্যে সমর্থন জানান তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেস যদিও ভাঙচুরের ঘটনায় তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তোলে। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই হামলা চালায়, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চালায় বলে দাবি করে তারা। সেই নিয়ে বাকযুদ্ধ চরমে ওঠে।
সেই ঘটনায় এবার মীনাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় CBI. ঘটনাচক্রে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন DYFI নেতা কলতান দাশগুপ্ত। আর জি করের ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলা নিয়ে একটি অডিও রেকর্ডিং ভাইরাল হয়। যে দুই ব্যক্তির কণ্ঠস্বর শোনা যায় অডিও রেকর্ডিংয়ে, তাঁদের মধ্যে একজন কলতান বলে দাবি করে পুলিশ। সেই মামলা উঠেছে কলকাতা হাইকোর্টে।