বিতস্তা সেন। কলকাতা সারাদিন।
নিজের বাড়িতেই ভয়ংকরভাবে আহত সইফ আলি খান। মধ্যরাতে এক্কেবারে বেডরুমে ঢুকে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়েছে এক দুষ্কৃতী। ছয় কোপে মুহূর্তে রক্তে ভাসতে থাকেন সইফ। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় লীলাবতী হাসপাতালে।
ইতোমধ্যেই হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিনেতার সার্জারি সফলভাবে হয়েছে।
এখন তিনি বিপদমুক্ত। লীলাবতী হাসপাতালের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) ডাঃ নীরজ উত্তমনি জানিয়েছেন, তারা অভিনেতার মেরুদণ্ড থেকে একটি ২.৫ ইঞ্চির ছুরি বের করেছে। অপারেশন খুবই জটিল ছিল। কিন্তু চিকিত্সকেরা কাজটি করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি আস্তে আস্তে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়েছে। এখন তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনার তদন্তের জন্য দশটি দল গঠন করা হয়েছে। তাদের প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে, হামলাকারী অভিনেতার ফ্ল্যাটে জোর করে প্রবেশ করেনি। তবে সম্ভবত রাতের আগে থেকে সে লুকিয়েছিল। রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনার পর হামলাকারী পালানোর জন্য সিঁড়ি দিয়ে ওঠে। ছয় তলার সিসিটিভি ভিজ্যুয়াল পাওয়া গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাত ৩টেয় বান্দ্রা ওয়েস্টে সইফের আটতলার ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়ে এক ব্যক্তি। আট থেকে এগারো, চারতলা জুড়ে থাকেন সইফ ও করিনা। সেখানেই সইফিনার ছোট ছেলে জেহর ঘরে ঢুকে আসে এক দুষ্কৃতী। প্রথমেই চোখে পড়ে জেহর ন্যানির। ওই দুষ্কৃতীকে দেখেই চেঁচিয়ে ওঠেন ওই মহিলা। আওয়াজ শুনেই ছুটে আসেন সইফ। বচসা থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। এরই মাঝে সইফ আলি খানকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে ৬ কোপ মারে ওই ব্যক্তি। তার মধ্যে বাঁ হাতে ও শিরদাঁড়ার পাশে দুটি গভীর ক্ষত হয়। রক্তে ভেসে যাচ্ছিলেন সইফ। রাত ৩.৩০ মিনিটে তাঁকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান বড় ছেলে ইব্রাহিম আলি খান।