শৌনক মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
একটা বড় সময় ধরে ভারতের বাজারে নিজের আধিপত্য কায়েম করেছিল চিনা অ্যাপ টিকটক। ওই সময়কালেই অন্যান্য ভিডিয়ো অ্যাপ বাজারে এলেও, বাইটড্যান্স সংস্থার অ্যাপের সামনে ধোপে টিকতে পারেনি তারা। কিন্তু বছর কয়েক যেতে না যেতেই জাতীয় সুরক্ষার প্রসঙ্গ তুলে সেই অ্যাপকে নিষিদ্ধ করে ভারত সরকার।
কাট টু ২০২৫।
এগিয়েছে প্রযুক্তি। আরও অত্যাধুনিক হয়েছে মানুষ। এখন সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিন নয়, বরং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দিকেই ঝোঁক বাড়িয়েছে সাধারণের। আর সেই সূত্র ধরেই প্রভাব বেড়েছে চ্য়াট জিপিটি, জেমিনি-র মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন অ্যাপের।
আপাতত সেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বাজারেও এখন চিনা প্রভাব। চিনা সংস্থা হাই-ফ্লায়ার নির্মিত ডিপসিক ভারতের মোবাইল ইউজারদের কাছে হয়ে উঠেছে পছন্দের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন অ্যাপ। কাজ অনেকটাই আমেরিকা সংস্থা দ্বারা নির্মিত চ্যাট জিপিটি কিংবা জেমিনি-র মতোই। কিন্তু ব্যবহারকারীদের মতে, ডিপসিক আর সকল অ্য়াপগুলির তুলনায় অনেক বেশি পারদর্শী।
পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বজুড়ে লঞ্চ হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্য়েই একাধিক দেশে গ্রাহকদের কাছে অন্যতম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন অ্যাপের জায়গা পেয়েছে ডিপসিক। ভারতেও পড়েছে হইচই। চ্য়াট জিপিটি বা জেমিনি ছেড়ে ডিপসিককেই ব্যবহার করতে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
শুধু ভারত নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও কার্যত হইচই ফেলে দিয়েছে এই ডিপসিক অ্যাপ। যার জেরে চিন্তায় পড়েছেন খোদ ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশের অন্দরে এমন চিনা প্রযুক্তির আধিপত্য়কে কার্যত ‘সতর্কবাণী’ বলেই ইঙ্গিত করছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘এদেশের প্রযুক্তি শিল্পগুলি জন্য এটা জেগে ওঠার সময়।’
কী করে এই ডিপসিক অ্যাপ?
এর কাজ অনেকটাই চ্যাট জিপিটি কিংবা জেমিনি মতোই। মূলত একজন ইউজারের করা প্রশ্নের উত্তর দেয় এই অ্যাপ। কিন্তু সে কাজ তো বাকিরাও করে, তবে এমন কি আলাদা করছে ডিপসিক? ব্যবহারকারীরা বলছেন, চ্যাট জিপিটি কিংবা জেমিনির থেকে নির্ভরযোগ্য ও পারদর্শী এটি। যে কোনও প্রশ্নের উত্তর গভীরতার সঙ্গে দিতে পারে এই অ্যাপ।