প্রিয়াঙ্কা মান্না। কলকাতা সারাদিন।
“মা মাটি আর মানুষ নিয়ে বাংলা আছে ভালো, তৃণমূলের হাতেই থাকুক নতুন দিনের আলো।” এভাবেই নতুন ছন্দে বাংলার মানুষের উন্নয়নের স্বপ্ন দেখিয়ে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “আমরা ২০২৪ সালকে বিদায় জানাতে চলেছি। আমার হৃদয় মা মাটি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতায় পূর্ণ। আমাদের শক্তির উৎস। এটা আপনাদের বিশ্বাস ও আস্থার জন্য়ই যাবতীয় নিপীড়ন ও শোষনের শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের সংকল্পকে শক্তি যোগায়। এই বছর ফের একবার আমরা পরীক্ষায় বিজয় লাভ করেছি। পর পর প্রতিবন্ধকতা থেকে আমরা যে সমস্ত মাইলফলকগুলি অর্জন করেছি তা আপনাদের ভালোবাসা ও সংহতির জন্যই সম্ভব হয়েছে। এই বছরটিকে অবিস্মরণীয় করে তোলার জন্য় আমি হাত জোড় করে বাংলার মানুষকে ধন্যবাদ জানাই। আমি আমার প্রতিশ্রুতি আবার স্মরণ করছি, বাংলার মানুষকে সর্বোচ্চ ক্ষমতার মাধ্যমে সেবা করব ও সুরক্ষিত রাখব। ন্যায় বিচার, স্বাধীনতা, সমতা, ভ্রাতৃত্ববোধের আদর্শগুলিকে দৃঢ়তার সঙ্গে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকব। জয় বাংলা।
এই শুভেচ্ছা বার্তার সঙ্গে তিনি একটি ভিডিয়ো পেশ করেছেন। সেখানে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত একের পর এক কর্মসূচিকে তুলে ধরা হয়েছে। ভিডিওর সূচনা হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা দিয়ে। ব্যাক স্ক্রিনে মুখ্যমন্ত্রীর কণ্ঠস্বর, ‘গঙ্গাসাগর মেলা আমাদের গর্ব এবং পৃথিবীর সব থেকে বড় মেলা এটা। প্রতিবারই প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ আসে এখানে।’ কলকাতা বইমেলা থেকে শুরু করে সম্প্রীতির মিছিল, সবই উঠে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “বাংলা আজ যা ভাবে, বিশ্বে আগামীকাল তা ভাবে। আমরা হারব না, আমরা জিতবই।’
কথা দিলে তিনি যে কথা রক্ষা করতেও জানেন, ভিডিওতে সেটাও স্পষ্ট করা হয়েছে। ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনায় কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে আন্দোলনের ঢেউ দিল্লি পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে ফেব্রুয়ারিতে রেড রোডের ধর্না মঞ্চ থেকেই মমতা ঘোষণা করেছিলেন, কেন্দ্র টাকা না দিলে রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকেই বকেয়া মজুরি মেটানো হবে। লোকসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী সেই টাকা তো মিটিয়েছেন, উপরন্তু ডিসেম্বরে আবাস যোজনায় ১২ লক্ষ পরিবারকে ঘর তৈরির প্রথম কিস্তির টাকাও দিয়েছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতিও যে স্রেফ কথা কথা ছিল না, তাও স্পষ্ট। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “বাংলায় একমাত্র জায়গা যেখানে মহিলারা সবচেয়ে বেশি সুরক্ষিত।”
তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই ভিডিয়োতে আরজি কর কাণ্ডের প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে দেখানো হয়েছে আরজি কর আন্দোলনের কথা। মমতা কীভাবে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনস্থলে গিয়েছিলেন সেকথা জানানো হয়েছে। তিনি আরজি কাণ্ড নিয়ে কী বলেছিলেন তার অনেকটাই রয়েছে মমতার পেশ করা সেই ভিডিয়োতে। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায় আপনারা যখন রাস্তায় থাকেন তখন আমাকেও কিন্তু পাহারাদার হিসাবে জেগে থাকতে হয়।