শ্যামল মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।
হাতে বৌদির কাটা মুণ্ডু। কোনও উত্তাপ নেই। হেঁটে চলেছেন দেওর। শনিবার সাত সকালে এমন শিউরে ওঠা দৃশ্য দেখে শিউ়রে উঠছেন সকলে। মৃতার ছেলে শুভদীপ মণ্ডল ভাবতেই পারছেন না মা আর নেই।
তাঁর দাবি, প্রতিবেশীর সঙ্গে আম পাড়া নিয়ে মায়ের ঝামেলা থামাতে তিনিই কাকাকে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু সেই কাকাই যে এমন নৃশংস ভাবে মা-কে খুন করবে ভাবতেও পারছেন তিনি।
নিহত সতী মণ্ডলের ছেলে শুভদীপ বলেন, “ফেব্রুয়ারির ৯ তারিখ আমার বাবা মারা গিয়েছে। আমাদের গাছের আম আমরা পাই না। সেইটাই মা বলতে গিয়েছিল। তারপর থেকেই ঝামেলা। কালকে সন্ধেই আমি ফোনে মাকে বলি। কাকার ছেলেকেও ফোনে বললাম। কাকারা প্রথম থেকেই আমাদের সঙ্গে ঝামেলা করত। ও বলত আমাদের জায়গায় থাকতে দেবে না। সব বলত মেরে দেব, কেটে দেব। জায়গাটা তো আমাদের। আমাদের জায়গায় হাঁটতে পারব না। আমি চাই কাকার যাবজ্জীবন হোক। শুধু কাকা নয়, কাকিমা আর বড় ছেলেরও জেল হোক।”
মৃতের দেওরের ছেলে বলেন, “জেঠিমার মুণ্ডু কেটে আমার কাকা নাকি থানার দিকে যাচ্ছে। জেঠিমা গরু চড়াতে গিয়েছিল। পিছন দিক থেকে এসে গলা কাটে।”

প্রসঙ্গত, শনিবার বাসন্তী থানার ভরতগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ নম্বর ভরতগড় এলাকায় বৌদিকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের পর দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে সেই কাটা মুণ্ডু হাতে নিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন দেওর বিমল মণ্ডল। অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মৃতের ছেলের দাবি, আম পাড়া দিয়ে বিবাদের জেরেই কাকা খুন করেছে তাঁর মা-কে।
এই প্রথম নয়। ২০১২ সালে ডিসেম্বর মাসে এই দক্ষিণ ২৪ পরগনারই নাদিয়ালের আয়ুবনগরে বোনের মুণ্ডু কেটে থানায়
হাজির হয় দাদা। এক হাতে কাটা মাথা ও আরেক হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে থানায় আত্মসমর্পন করে সে। বোন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া তাঁকে খুন করেছে বলে থানায় গিয়ে দাবি করে অভিযুক্ত। তাকে গ্রেফতার করার পরে রাস্তা থেকে তরুণীর মুণ্ডুহীন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।