পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সমস্ত প্রকল্প সঠিকভাবে রূপায়ণ এবং সরকারি বরাদ্দ সঠিকভাবে খরচ করার নিরিখে ও রাজ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে পশ্চিম মেদিনীপুর। প্রথম স্থান অধিকার করেছে পূর্ব মেদিনীপুর। মঙ্গলবার বিকেলে মেদিনীপুর শহরের প্রদ্যোৎ স্মৃতি সদনে সাংবাদিকদের মুখোমখি হয়ে জানিয়েছেন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী প্রদীপ কুমার মজুমদার।
এদিন একটি পর্যালোচনা বৈঠক উপলক্ষে প্রায় পুরো দপ্তর নিয়ে মেদিনীপুর শহরে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সচিব পি উলগানাথন , প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা, বেচারাম মান্না, সেচ মন্ত্রী ডাক্তার মানস ভুঁইয়া, রাজের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো, মেদিনীপুরের সাংসদ জুন মালিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভারানী মাইতি, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক খুরশেদ আলি কাদেরী, বিধায়ক দীনেন রায়, সুজয় হাজরা সহ আরো অনেকে।
রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “সার্বিকভাবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা খুব ভাল কাজ করেছে। তার মধ্যেই যে সমস্ত ব্লক একটু পিছিয়ে আছে, সেখানেও যাতে সঠিকভাবে কাজ হয়, সেই আলোচনা হয়েছে।” রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন ও সেচ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ডঃ মানসরঞ্জন ভূঁইয়া বলেন, মাঝখানে মেদিনীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের কারণে কয়েকমাস সরকারি প্রকল্পের কাজকর্ম স্থগিত না থাকলে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাই হয়তো প্রথম স্থান অধিকার করত।
সেই সঙ্গে তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা সত্ত্বেও বাংলার আবাস প্রকল্পে রাজ্য সরকার টাকা দিয়েছে, বাইশ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। এক লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র ও রাজ্যের পাওনা এখনো দেয়নি । তা সত্ত্বেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নের কাজ বন্ধ করে দেয়নি। এই উন্নয়নের কাজ একমাত্র সম্ভব হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য।
এদিনের এই পর্যালোচনা বৈঠকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, প্রতিটি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, প্রতিটি ব্লকের বিডিও, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি, কর্মাধ্যক্ষ গন ও জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্যগণ,মহকুমা শাসক সহ দপ্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।