সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধ ব্যর্থ করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত রাজ্য সরকার। নবান্নে আজ প্রেস কনফারেন্স করে জানিয়ে দিল সরকার। মঙ্গলবার নবান্নে একটি সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে বক্তব্য রাখেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ব্রাত্য বসু, ইন্দ্রনীল সেন এবং অরূপ বিশ্বাস। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “বনধের উদ্দেশ্য হল অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করা। বিজেপি বিভিন্ন প্ররোচনা দিয়েছিল, যাতে বিশৃঙ্খলা হয়। ছাত্র সমাজের নাম ব্যবহার করে প্রতিবাদের নামে প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছিল এবং শান্তিপূর্ণভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। কর্মসূচির নামে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা হয়েছে। ছাত্র সমাজের নামে প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখে। পুলিশকে বিভিন্ন জায়গায় আক্রমণ করা হয়েছে। ইট ছোড়া হয়েছে। পুলিশ ধৈর্য হারায়নি। পুলিশ ওদের প্ররোচনায় পা দেয়নি। সেজন্যই আরও একটা অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করতে বনধ ডাকা হল।”
তিনি আরও বলেন, “বিজেপির এই বনধের উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছে। তাদের আন্দোলন এবং বনধের ডাক সাধারণ মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে। বনধের প্রভাব জনজীবনে পড়বে না। রাস্তায় বাস ও গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক থাকবে এবং বাংলার মানুষ এই বনধকে সমর্থন করবেন না। রাজনীতি করে বাংলাকে অশান্ত করা যাবে না।”
ব্রাত্য বসু এবং অন্যান্য মন্ত্রীরা বনধের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেন, রাজ্য প্রশাসন সমস্ত ধরনের নৈরাজ্য এবং অস্থিরতা প্রতিরোধে প্রস্তুত। রেলকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আবেদন জানানো হয়েছে।
এদিনের নবান্ন অভিযান নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “ছাত্রদের নামে বেশিরভাগ গুন্ডা ওই আন্দোলনে ছিলেন। ছাত্র প্রায় ছিল না বললেই চলে। আমরা সবাই আরজি করের ঘটনায় বিচার চাইছি। সেইসবকে তোয়াক্কা না করে ওরা চেয়েছিল আজকের অভিযানে লাশ পড়ুক।”
বুধবার, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। আগামিকাল মেয়ো রোডে সভা রয়েছে শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের। সেই সভায় প্রধান বক্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইদিনে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত বনধ ডেকেছে বিজেপি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ কী ব্যবস্থা নেয়, সেদিকে তাকিয়ে সবাই।