শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
বিধানসভার মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি রয়েছে বলে আগেই অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা অধিকারী। তাই বিধানসভার অধ্যক্ষের নিষেধাজ্ঞা খারিজের আবেদন জানিয়ে দ্বারস্থ হয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে। তাঁর জন্য বরাদ্দ কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে বিধানসভায় প্রবেশের অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি। বিধানসভা চত্বরে কেন্দ্রীয় বা ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। নিরাপত্তার অভাবের কথা জানিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছেন তিনি।
দুই হাজার কুড়ি সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই রাজ্য সরকার শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করেছিল। এরপর থেকেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আধা সেনা মোতায়েন করে শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তার জন্যে। কিন্তু বিধানসভা চত্বরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তারক্ষীদের প্রবেশাধিকার নেই। যদিও পরবর্তীকালে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শুভেন্দুকে নিরাপত্তা দিতে শুরু করে রাজ্য সরকারও।
কিন্তু বিধানসভা ভবনে বা বিধান সভার চত্বরে নিজের কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে আসার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সরব বিরোধী দলনেতা। সেই প্রবেশাধিকার চেয়েই মামলা হয়। আজ শুনানি চলাকালীন বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন করে জানতে চান,”শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্র এবং রাজ্য দু’টি নিরাপত্তাই পান?” এরপর বিচারপতির প্রশ্ন, “বিধানসভার ভিতরে কি হুমকির বিষয় আছে নাকি! যে নিরাপত্তার প্রয়োজন? আপনি আপনার নিরাপত্তারক্ষী ভিতরে পারবে প্রবেশ করাতে চাইছেন। এই মুহূর্তে অন্তর্বর্তী নির্দেশ কীভাবে সম্ভব?” বিচারপতির প্রশ্ন, “বিধানসভার ভিতরে প্রবেশ করে কীভাবে বাইরের মানুষ হুমকি বিধায়কদের।”
উল্লেখ্য, রাজ্য তো বটেই একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গতবছরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সম্প্রতি তাঁর নিরাপত্তা আরও বাড়িয়েছে। এতদিন পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেই তাঁর জন্য নির্দিষ্ট ছিল জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা। কিন্তু অন্য রাজ্যে ওয়াই ক্যাটেগরি নিরাপত্তা পেতেন। তবে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা গোটা দেশেই পাবেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
তবে আইনজ্ঞদের মতে, বর্ষাকালীন অধিবেশনের পর চলতি বিধানসভার আর ১টি মাত্র অধিবেশন বাকি রয়েছে। হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন বিধানসভার অধিবেশন বসবে। বিধানসভার অন্দরে ও বিধানসভা চত্বরের নিরাপত্তাবাহিনীর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের স্পিকারের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা রয়েছে। সেখানে হস্তক্ষেপ করতে চাইবে না আদালত।