সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
বাংলাদেশের জেলে বন্দি সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। এবার এপার বাংলায় বসে বাংলাদেশের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। এমনকী তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও চিঠি দিয়েছেন বলে খবর।
মঙ্গলবার তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বাংলাদেশের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষের সঙ্গে দেখা করতে যান তাঁদের বারাকপুরের বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে নানা ইস্যুতে কথা বলেন কুণাল ঘোষ। মূলত রবীন্দ্র ঘোষের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ খবর নেন।
বাংলাদেশে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। মঙ্গলবার রবীন্দ্র ঘোষের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন কুণাল। তাঁদের মধ্যে অনেকটা সময় একান্তে কথা হয়। এরপর সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন দু’জনেই।
কী বিষয়ে কথা হল দুজনের? জানতে চাওয়া হলে
রবীন্দ্র ঘোষ জানিয়েছেন, আমি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চাই। সেই সঙ্গেই বাংলাদেশ থেকে যে কলকাতা দখলের কথা বলা হচ্ছে তাকে কার্যত উড়িয়ে দেন আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। সেখানকার সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
রবীন্দ্র ঘোষ বলেন, ওরা বলে দিল্লি দখল করবে, কলকাতা দখল করবে, এটা সেটা করা অত সহজ নয়। এটা তো নতুন সরকার নয়। এটা তো নির্বাচিত সরকারই নয়।
এদিকে আগামী ২রা জানুয়ারি ফের চট্টগ্রাম আদালতে চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভূর মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। চিন্ময়কৃষ্ণ প্রসঙ্গে ভারতের পদক্ষেপ কী হওয়া দরকার সেই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, এটা তো করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। তিনি( রবীন্দ্র ঘোষ) চিঠি দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীকে। তবে বাংলাদেশের সবাই ভারত বিরোধী নন।
কুণাল ঘোষ বলেন, রবীন্দ্র ঘোষ চিকিৎসার জন্য কলকাতায় রয়েছেন। রবীন্দ্রবাবুর পরিবার কলকাতায় থাকেন। তিনি নিশ্চিতভাবে মুখ্যমন্ত্রী সহ প্রধানমন্ত্রীকেও চিঠি দিয়েছেন। এটা তো স্বাভাবিক। যথাযথ সম্মান দিয়ে জানাচ্ছি রাজ্য সরকার তো বাংলাদেশ নিয়ে কিছু করতে পারবে না। আমার যা করণীয়..বাকিটা নিয়ে আমি কিছু কথা বলব না। চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভূ কার্যত বিনা বিচারে আটকে আছেন সেটা নিয়ে আমরা কিছু মন্তব্য করতে পারি না। কিন্তু আমরা চাই তিনি মুক্তি পান। তবে কার্যকরী পদক্ষেপটা কেন্দ্রীয় সরকারকেই নিতে হবে।
কুণাল বলেন, তিনি( রবীন্দ্র ঘোষ) ফোন করে দেখা করতে চেয়েছেন। কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীও পরিষ্কার জানিয়েছেন তিনি ব্যথিত। উদ্বিগ্ন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কিছু করুক। তারা হিন্দুত্বের কথা বলবেন। কিন্তু তাদের কোনও দূত কিছু করবে না…সেই সাহায্যটাও তো কেন্দ্রীয় সরকার থেকে পাচ্ছেন না। আমার মনে হয়েছে ওনার সব থেকে অগ্রাধিকার হল তাঁর সুস্থতা। রাজ্যে সরকারের যা অবস্থান সেটা আমরা জানিয়েছি।
অন্যদিকে, বৈঠকের কিছু পরেই অসুস্থ হয়ে এস এস কে এম হাসপাতালে ভর্তি হলেন চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বুকে ব্যথা হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে।