সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
“আমরা ৪-৫ দিনের জন্য থাকছি না। তবে এখানকার সঙ্গে সবসময়ে যোগাযোগ থাকবে। কারও কোনও অসুবিধা হলে আমরা দেখে নেব। আপনারা সবাই সুস্থ থাকবেন, শান্তিতে থাকবেন।” এভাবেই আজ শনিবার কলকাতা থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে বাংলার মানুষকে আশ্বস্ত করে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা যে ক’দিন ব্রিটেন সফরে থাকবেন, সেই সময়ে সরকার ও প্রশাসনের কাজ সামলানো, সমন্বয় করার বিষয়ে তিনি একটি টাস্কফোর্স গঠন করে দিয়েছেন। তাতে রেখেছেন ভূমি দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব বিবেক কুমার, অর্থসচিব প্রভাত মিশ্র, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, ডিজি রাজীব কুমার এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মাকে। পাঁচ জন মন্ত্রীকে সমন্বয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা। তাঁরা হলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, সুজিত বসু, অরূপ বিশ্বাস এবং ফিরহাদ হাকিম। অন্যদিকে তৃণমূলের যেকোনো দলীয় প্রয়োজনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য মমতা দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর উপরে। আজ বিমানবন্দরেও ঢোকার সময় মমতা যে যোগাযোগ রাখার কথা বলে গিয়েছেন তা মূলত তাঁর তৈরি করে দেওয়া এই টাস্কফোর্সগুলির সদস্যদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত মুখ্যমন্ত্রীর যোগাযোগের বিষয়টি।
২২ মার্চ অর্থাৎ আজ শনিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে উড়ানে চেপে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল মমতার। সেদিন রাত ৮টাতেই হিথরোতে নামার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু, লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে বড়সড় অগ্নিকাণ্ডের জেরে সেখানে বিমান ওঠানামার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই আবহে ঠাসা সূচিতে বদল আনা হয়। জানা যায়, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনে আগুন লাগার প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর শুক্রবার রাতে ফের চালু হয় উড়ান পরিষেবা। শনিবার সন্ধ্যেবেলা নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী দুবাই থেকে লন্ডনেরjhjh উদ্দেশ্যে যে বিমানের রওনা দেবেন তার অবতরণের ছাড়পত্র পাওয়া গিয়েছে।
পূর্বনির্ধারিত সফর সূচি পিছিয়ে যাওয়ায় তা যে বেশ ক্লান্তিকর হতে চলেছে, তাও জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা বিমানবন্দরের বাইরে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, “আমাদের রাতের বিমান। দুবাইয়ে পৌঁছব মাঝরাতে। তারপর আবার লন্ডনের ফ্লাইট। যাতায়াতে দু’দিন মতো সময় লেগে যায়। সরাসরি বিমান পরিষেবা না থাকায় এতটা সময় লাগে। আমাদের এই সফরটা বেশ হেকটিক হয়ে যাবে। তবে ঠিক আছে। ওখানে যা যা অনুষ্ঠান আছে, সেসব সময়মতোই হবে। তবে আপনারা সাবধানে থাকবেন। শান্তিতে থাকবেন।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লন্ডন সফরের কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার তিনি ভারতীয় হাইকমিশনের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। মঙ্গলবার রয়েছে বাণিজ্য সম্মেলন, বুধবার সরকারি স্তরে বাণিজ্য বৈঠক এবং বৃহস্পতিবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। আগামী শুক্রবার তিনি লন্ডন থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেবেন।