ব্রেকিং
  • Home /
  • পশ্চিমবঙ্গ /
  • SIR panic death Digha: এসআইআর আতঙ্কে দিঘার হোটেল মালিকের মৃত্যু! কাঁটাবনি গ্রামে শোকের ছায়া

SIR panic death Digha: এসআইআর আতঙ্কে দিঘার হোটেল মালিকের মৃত্যু! কাঁটাবনি গ্রামে শোকের ছায়া

কনিষ্ক সামন্ত। কলকাতা সারাদিন।   রাজ্য জুড়ে (SIR panic in West Bengal) ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে আতঙ্ক। এবার সেই আতঙ্কে প্রাণ গেল এক হোটেল ব্যবসায়ীর। পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর ১ ব্লকের কাঁটাবনি গ্রামে (Katabani village Ramnagar) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল শেখ....

SIR panic death Digha: এসআইআর আতঙ্কে দিঘার হোটেল মালিকের মৃত্যু! কাঁটাবনি গ্রামে শোকের ছায়া

  • Home /
  • পশ্চিমবঙ্গ /
  • SIR panic death Digha: এসআইআর আতঙ্কে দিঘার হোটেল মালিকের মৃত্যু! কাঁটাবনি গ্রামে শোকের ছায়া

কনিষ্ক সামন্ত। কলকাতা সারাদিন।   রাজ্য জুড়ে (SIR panic in West Bengal) ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে আতঙ্ক।....

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
X
Threads
Telegram

আরও পড়ুন

কনিষ্ক সামন্ত। কলকাতা সারাদিন।

 

রাজ্য জুড়ে (SIR panic in West Bengal) ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে আতঙ্ক। এবার সেই আতঙ্কে প্রাণ গেল এক হোটেল ব্যবসায়ীর। পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর ১ ব্লকের কাঁটাবনি গ্রামে (Katabani village Ramnagar) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল শেখ সিরাজউদ্দিন নামে এক হোটেল মালিকের। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, এসআইআর নথি যাচাইয়ের সময় নিজের বাবার নাম ভুল দেখে চরম মানসিক চাপে ভুগছিলেন তিনি। আর সেই চাপই শেষমেশ তাঁর প্রাণ কেড়ে নিল।

 

আতঙ্কে মৃত্যু — কাঁটাবনি গ্রামে শোকের ছায়া

 

রামনগরের কাঁটাবনি গ্রামের বাসিন্দা শেখ সিরাজউদ্দিন দীর্ঘদিন বিদেশে ছিলেন। সম্প্রতি দেশে ফিরে দিঘায় (Digha hotel business) একটি হোটেল খুলেছিলেন তিনি। এলাকায় পরিচিত মুখ, সকলের প্রিয় মানুষ। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে (SIR document verification panic) যে আতঙ্ক গোটা বাংলায় ছড়িয়ে পড়েছে, তার আঁচ তাঁর জীবনেও লাগে। পরিবারের দাবি, কাগজপত্র বের করতে গিয়ে বাবার নামের ভুল দেখে তিনি চরম দুশ্চিন্তায় পড়েন।

রবিবার সকাল থেকে মন খারাপ অবস্থায় ছিলেন সিরাজউদ্দিন। সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সৈকত শহর দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে (Digha State General Hospital)। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানান, ততক্ষণে সব শেষ। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

 

পরিবারের কান্না আর প্রতিবেশীদের ক্ষোভ

 

পরিবারে এখন গভীর শোক। স্ত্রী, ছয় মেয়ে এবং দুই ছেলেকে রেখে গেলেন শেখ সিরাজউদ্দিন। স্ত্রীর কান্নাভেজা গলায় অভিযোগ, “আমার স্বামী তো কোনও অন্যায় করেনি। কাগজে শুধু নামটা ভুল ছিল। সেই ভয়েই মারা গেল!”

প্রতিবেশীরাও ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন। এক প্রতিবেশী বলেন, “এসআইআর (SIR list fear) নিয়ে গ্রামের মানুষজন ভয়ে দিন কাটাচ্ছে। নামের একটু গরমিল মানেই উদ্বেগ। এই ভয়েই মানুষ মরছে!”

 

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া — ‘এসআইআর আতঙ্কই মারণ’

 

রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি (Akhil Giri MLA) বলেছেন, “উনি একদম সুস্থ মানুষ ছিলেন। কিন্তু এসআইআর আতঙ্কে ছিলেন, এ নিয়ে আশেপাশের লোকদের সঙ্গে আলোচনা করতেন। বাবার নাম ভুল দেখার পর সেই ভয় আরও বেড়ে যায়। এই মানসিক চাপই মৃত্যুর কারণ।”

রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন পড়ে গেছে এই ঘটনায়। শাসক দল অভিযোগ তুলছে, কেন্দ্রের চাপানো (SIR process panic) মানসিক সন্ত্রাসেই এমন মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটছে রাজ্যে।

এসআইআর আতঙ্কে মৃত্যু সংখ্যা বাড়ছে

এই নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় (East Midnapore SIR deaths) এসআইআর আতঙ্কে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের উচিত দ্রুত আশ্বাসমূলক বার্তা দেওয়া এবং ভুল নাম বা নথি সংশোধনের সহজ প্রক্রিয়া ঘোষণা করা। নাহলে মানুষের মানসিক চাপ আরও বাড়বে।

দিঘার এই ঘটনার পর সাধারণ মানুষের মনে একটাই প্রশ্ন— “কবে থামবে এই এসআইআর আতঙ্ক?” নথির ভুলে একের পর এক প্রাণ ঝরছে। সাধারণ মানুষ শুধু চায়— ভয়ের নয়, নির্ভরতার সরকার।

আজকের খবর