সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালই টিএমসিপির মঞ্চ থেকে ধর্ষণ বিরোধী বিল আনার কথা বলেছিলেন। এর জন্যে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে বলেও জানিয়েছেন মমতা। আবার বিকেলে নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ধর্ষণ বিরোধী সেই বিলের সুজ সংকেতও মিলেছে। তবে এই সবের মাঝেই মমতার প্রস্তাবিত বিশেষ বিধানসভা অধিবেশন নিয়ে তোপ শুভেন্দু অধিকারীর।
তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী যদি এভাবে বিশেষ অধিবেশন ডাকেন, তা নাকি বেআইনি। পাশাপাশি তাঁর হুঁশিয়ারি, ধর্ষণ বিরোধী বিল পেশের জন্যে বিশেষ বিধানসভা অধিবেশন ডাকা হলে ‘তুলকালাম’ হতে পারে। ()
শুভেন্দু প্রশ্ন করেন, বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকার মমতা কে! পাশাপাশি তিনি ‘ছাত্রসমাজ’কে এবার বিধানসভা অভিযানের ডাক দিতে বলেন। তাঁর কথায়, ‘এই অধিবেশন করতে গেলে রাজ্যপালের কাছে ফাইল পাঠাতে হবে। রাজ্যপাল বেআইনি কাজের অনুমোদন দেবেন না। জোর করে বিধানসভা করতে পারেন না। সোমবার অধিবেশন ডাকার আপনি কে! আপনি হরিদাস? ছাত্র সমাজকে বলব ওই দিন বিধানসভার অধিবেশন করুন। আমরা ভিতরে বিধায়করা বুঝে নেব। আর রাস্তায় ছাত্র সমাজের লোকজন আপনারা বুঝে নেবেন।’
টিএমসিপির মঞ্চথেকে মমতার ভাষণ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘যে ভাষায় আজ ধমকেছেন এটা সরকার নাকি তালিবান, নাৎসি, জন কিম। আজ আমি সকলকে বলেছি কোনো রাজনৈতিক পতাকা ছাড়া একদিনে কালীঘাট নবান্ন ও লালবাজার অভিযান করুন।’
এদিকে শুভেন্দুর এই বিধানসভা অভিযানের ‘পরামর্শ’ পালটা তোপ দেগেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘ধর্ষণ-খুনে ফাঁসি চাই। কড়া আইনের পক্ষে সদিচ্ছা দেখিয়ে বিধানসভার অধিবেশন ডেকে বিল আনছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘোষণা করেছেন। সেখানে কিসের আপত্তি? আইনি যা যা বিষয় তা তো আইনে হবে। সেখানে এই ওই অভিযান করুন বলার মানে কী! আসলে দিল্লি বিজেপি বলছে বাংলায় অশান্তি তৈরি করুন। আর এখানের বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। একজন যদি অরজাকতার জন্য নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় তো বিকালে একজন বলছে বাংলা বনধ করো। বাংলা বনধের দিন আবার অনেককে দেখা যাচ্ছে না।
বিজেপি নেতারা নিজেদের ঝগড়ার জন্য বাংলাকে তাঁরা অশান্তির দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে।’
উল্লেখ্য, গতকালই নবান্নে অনুষ্ঠিত হয়েছিল রাজ্য ক্যাবিনেট বৈঠক। সেই বৈঠকের আগেই টিএমসিপির মঞ্চ থেকে ধর্ষণ বিরোধী আইন আার কথা বলেছিলেন মমতা। আর নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকেই সেই ধর্ষণ বিরোধী বিল আনার বিষয়টি উত্থাপিত হয়। অনুমোদন পায় সেই সংক্রান্ত প্রস্তাব। এই আবহে ধর্ষণ বিরোধী আইনের ড্রাফ্ট তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। ৩ সেপ্টেম্বর সেই সংক্রান্ত বিল পেশ হতে পারে বিধানসভায়।