ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত হল আমতা বিধানসভার দীপাঞ্চল ভাটোরা ও ঘোড়াবেড়িয়া চিৎনান এলাকা। ইতিমধ্যে এলাকার নীচু এলাকা রাস্তাঘাট জমি জলমগ্ন হয়ে পড়ায় দূর্ভোগে পড়েছে এলাকার প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। বাসিন্দাদের বক্তব্য এবারে যে পরিমান জল ছাড়া হচ্ছে তাতে রাতের পর থেকে পরিস্থিতি আরোও ঘোরালো হবে। ইতিমধ্যে ৩০ সদস্যের এনডিআরএফ একটি দলকে ভাটোরায় পৌছেছে।
পাশাপাশি সিভিল ডিফেন্স এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও এলাকায় পাঠানো হয়েছে। আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল জানান বন্যা পরিস্থিতির কথা মাথায় ২৪ ঘন্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। দূর্গত এলাকায় ত্রিপল ও পর্যাপ্ত ত্রান সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। ত্রান শিবিরগুলিকে প্রস্তুত রাখা হযেছে। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দীপাঞ্চলের প্রসূতি মায়েদের মূল ভূখন্ডে নিয়ে আসা হচ্ছে।
এমনকি যেকোন সমস্যার সমাধানে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ও চালু করা হয়েছে বলে জানান বিধায়ক সুকান্ত পাল। অন্যদিকে আমতার পাশাপাশি উদয়নারায়নপুরেও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উদয়নারায়নপুরের বকপোতা নদী বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেন হাওড়া গ্রামীন জেলা পুলিশ সুপার স্বাতী ভাঙ্গালীয়া, বিধায়ক সমীর পাঁজা। বিধায়ক সমীর পাঁজা জানান ডিভিসি যেভাবে জল ছাড়ছে তাতে বুধবার বিকালের পর থেকে পরিস্থিতি ঘোরালো হতে পারে।
তিনি জানান বন্যার আগাম সর্তকতা হিসাবে নদী তীরবর্তী এলাকায় মাইকিং করে মানুষকে সর্তক করা হচ্ছে। ত্রান শিবিরগুলিকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অপরদিকে উদয়নারায়নপুর ও আমতার বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় মঙ্গলবার দুপুরে দুটি এলাকায় যান রাজ্যের পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়। এদিন তিনি দুটি জায়গাতেই বিধায়ক ও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন।
মন্ত্রী পুলক রায় বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে দুটি বিধানভার জনপ্রতিনিধি ছাড়াও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেছি। তিনি বলেন বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। পরিস্থিতির উপর সর্বদা নজর রাখা হচ্ছে।তবে ডিভিসি পর্যায়ক্রমে জল ছাড়লে এই বন্যার পরিস্থিতি হতনা বলে দাবি করেন মন্ত্রী পুলক রায়।