সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
কলকাতা থেকে শালবনির উদ্দেশ্যে সোমবার রওনা হওয়ার আগে কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে অস্বাস্থ্য রাজ্যপালকে দেখতে ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এখনো রাজ্যপালের শারীরিক অবস্থার সেরকম উন্নতি না হওয়ায় আজ নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার কেবিনেট বৈঠকের পরেই আরো একবার ছুটে গেলেন বাইপাস সংলগ্ন অ্যাপোলো হাসপাতালে রাজ্যপালের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য।
বুধবার বিকেলে অসুস্থ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে রাজ্যপালের স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেও তিনি কথা বলেন। খোঁজখবর নেন অসুস্থ রাজ্যপালের। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, “রাজ্যপালের সঙ্গে কথা হয়নি। ওষুধ দিয়ে তাঁকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা বিশ্রাম নিতে বলেছেন। চার-পাঁচদিন চিকিৎসার পর রাজ্যপাল স্থিতিশীল হলে তারপর পরবর্তী চিকিৎসার কথা ভাববেন ডাক্তাররা।” তবে রাজ্যপালের স্ত্রীয়ের সঙ্গে কথা হয় মুখ্যমন্ত্রীর।
একই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন মুকুল রায়ও। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ তিনি। এদিন তাঁকে দেখে এলেন মমতা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মুকুলও অনেকদিন ধরে এখানে ভর্তি আছে। ওঁকেও একটু দেখে এলাম। মাথায় হাত বুলিয়ে দিলাম। ডাকলাম। চোখ খুলেছে। একটু একটু চোখ খুলেছে।”
মুকুল রায় ২০২১ সালে বিজেপির টিকিটে লড়াই করে বিধায়ক হয়েছিলেন। খাতায়-কলমে এখনও তিনি বিজেপির জনপ্রতিনিধি। নিজের বাড়িতে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন ৭০ বছরের বিধায়ক। তাঁকে বাইপাসের ধারের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করার সময় জ্ঞান ছিল না। যথেষ্ট সংকটজনক অবস্থায় চিকিৎসা চলেছে। মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল তাঁর। তারপর থেকেই হাসপাতালে মুকুল।