ব্রেকিং
  • Home /
  • কলকাতা /
  • Genesis Hospital license cancelled : চিকিৎসায় গাফিলতি ও রোগীদের গলা কেটে বিল! কলকাতার জেনেসিস হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশ রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের

Genesis Hospital license cancelled : চিকিৎসায় গাফিলতি ও রোগীদের গলা কেটে বিল! কলকাতার জেনেসিস হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশ রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের

সুষমা পাল মন্ডল। কলকাতা সারাদিন। কলকাতার কসবার Genesis Hospital Kolkata ফের এক ভয়াবহ কাণ্ডে জড়িয়ে পড়ল। চিকিৎসায় গাফিলতি (medical negligence) এবং অতিরিক্ত বিল (overbilling) নেওয়ার অভিযোগে এবার হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশ দিল রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন (West Bengal Health Commission)। কমিশনের....

Genesis Hospital license cancelled : চিকিৎসায় গাফিলতি ও রোগীদের গলা কেটে বিল! কলকাতার জেনেসিস হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশ রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের

  • Home /
  • কলকাতা /
  • Genesis Hospital license cancelled : চিকিৎসায় গাফিলতি ও রোগীদের গলা কেটে বিল! কলকাতার জেনেসিস হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশ রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের

সুষমা পাল মন্ডল। কলকাতা সারাদিন। কলকাতার কসবার Genesis Hospital Kolkata ফের এক ভয়াবহ কাণ্ডে জড়িয়ে পড়ল।....

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
X
Threads
Telegram

আরও পড়ুন

সুষমা পাল মন্ডল। কলকাতা সারাদিন।

কলকাতার কসবার Genesis Hospital Kolkata ফের এক ভয়াবহ কাণ্ডে জড়িয়ে পড়ল। চিকিৎসায় গাফিলতি (medical negligence) এবং অতিরিক্ত বিল (overbilling) নেওয়ার অভিযোগে এবার হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশ দিল রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন (West Bengal Health Commission)।
কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, আপাতত নতুন করে কোনও রোগী ভর্তি করতে পারবে না Genesis Hospital, যদিও যাঁরা ইতিমধ্যেই ভর্তি আছেন, তাঁদের চিকিৎসা চলবে।

অভিযোগের সূত্রপাত ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে

সূত্রের খবর, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে এক রোগীর পরিবার Genesis Hospital-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতি করা হয়েছে এবং রোগীর পরিবারকে বিশাল অঙ্কের বিল ধরানো হয়েছে—যা একেবারে অন্যায্য। এই অভিযোগের শুনানিতে হাসপাতালের কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত হননি। তার পরেই স্বাস্থ্য কমিশন হাসপাতালকে ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার ৮৮৯ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয় রোগীর পরিবারকে।
কিন্তু ১১ মাস পেরিয়ে গেলেও হাসপাতালের তরফে কোনও টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি। একাধিকবার ইমেল পাঠানো হলেও কোনও উত্তর মেলেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।

হাসপাতালের মালিকপক্ষ ফোনও ধরেননি!

রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা বহুবার যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। হাসপাতালের মালিক ডাঃ পূর্ণেন্দু রায় ফোন ধরেননি। আজ অভিযোগের শুনানির দিনও তারা আসেনি। তাই স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে (Director of Health Services) জানিয়ে হাসপাতালটির লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” কমিশনের নির্দেশ—নতুন করে রোগী ভর্তি করা যাবে না, তবে পুরোনো ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে যতক্ষণ না তাঁদের ছুটি দেওয়া হয়।

৩ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ, ১১ মাসেও পরিশোধ নয়!

রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে— “১১ মাস আগে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ৩,৬৮,৮৮৯ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে। আজও সেই টাকা দেওয়া হয়নি। তাই আমরা হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” এই সিদ্ধান্তে স্পষ্ট বার্তা—রোগীর সঙ্গে অন্যায় করলে ছাড় নেই (strict action for patient rights violations)।

রাজ্যে আরও হাসপাতালের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান

এটি প্রথম নয়। এর আগে, ডায়মন্ড হারবারের একটি নার্সিংহোমকেও (Diamond Harbour hospital fine) জরিমানা করেছিল কমিশন।
সেখানে একটি পাঁচ বছরের শিশুর হাতে ভুলভাবে প্লাস্টার করে দেওয়ার ফলে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, এবং শিশুটির হাত প্রায় নষ্ট হওয়ার জোগাড় হয়। সেই ঘটনায় স্বাস্থ্য কমিশন হাসপাতালকে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিল। এবার একই রকম কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হল জেনেসিস হাসপাতালের ক্ষেত্রেও।

“চিকিৎসা নয়, বাণিজ্য করছে হাসপাতাল!” – ক্ষোভ রোগীদের

স্থানীয় বাসিন্দা ও রোগীর পরিবারদের ক্ষোভ— “জেনেসিস হাসপাতাল চিকিৎসা নয়, বাণিজ্য করছে। অকারণে বিল বাড়ানো হয়, রোগীদের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা হয়। অনেকেই এর আগে অভিযোগ করেছেন।” সোশ্যাল মিডিয়াতেও ইতিমধ্যেই #GenesisHospitalScam হ্যাশট্যাগে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন নেটিজেনরা।
কমিশনের কড়া বার্তা

স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যানের বক্তব্যে স্পষ্ট, “এই রাজ্যে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা সহ্য করা হবে না (zero tolerance for medical fraud in West Bengal)। যে কোনও হাসপাতাল যদি চিকিৎসার নামে মুনাফা করে, কমিশন কঠোর ব্যবস্থা নেবে।”

বন্ধের পর কী হবে রোগীদের?

স্বাস্থ্য কমিশনের নির্দেশে বলা হয়েছে— “বর্তমানে যারা ভর্তি রয়েছেন তাঁদের চিকিৎসা সম্পূর্ণ করা হবে। এরপর হাসপাতালটি নতুনভাবে রোগী ভর্তি করতে পারবে না (no new admissions)।”

রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর এখন এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলকাতায় বেসরকারি হাসপাতালগুলির কার্যপ্রণালী নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। চিকিৎসা ব্যবস্থার নাম করে মানুষের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা বন্ধ হোক—এই দাবিতে সরব হয়েছেন অনেকে। স্বাস্থ্য কমিশনের এই সিদ্ধান্ত একদিকে রোগীর অধিকার (patient rights) রক্ষায় মাইলফলক হতে পারে, অন্যদিকে অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতালগুলির জন্যও এটি একটি সতর্কবার্তা (warning for private hospitals)।

আজকের খবর