সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
সিপিএম সরকারের আমলে প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী শ্যামল চক্রবর্তীর মেয়ে ঊষশী চক্রবর্তী, সিপিএম নেত্রী দীপ্সিতা ধরের দাদা শোভন এবং বৌদি সোহিনী সরকার-সহ টালিগঞ্জের বামপন্থী অভিনেতা অভিনেত্রী বলে পরিচিতরা এবার কলকাতার রাস্তায় নামলেন রাত দখল করতে।
প্রাথমিকভাবে আমরা তিলোত্তমার ব্যানারে গত ১৪ অগাস্ট যে মধ্যরাতে রাত দখলের কর্মসূচি গৃহীত হয়েছিল তার সঙ্গে কোন রাজনৈতিক দলের যোগ সাজস সাধারণ মানুষ খুজে না পেলেও হঠাৎ করেই গত ২৭ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়ার পরেই মুখোশ খুলে বেরিয়ে আসতে থাকেন টালিগঞ্জের অভিনেতা অভিনেত্রীরা।
সিপিএমের রাজ্য কমিটির নেতা-নেত্রীদের সুরে সোহিনী সরকার স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এবং সৃজিত মুখোপাধ্যায়রা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করতে থাকেন ২৭ তারিখের নবান্ন অভিযানে আপনারা যাবেন না। ওটা বিজেপির মিছিল। তার পরিবর্তে নিজেরাই দিন ঘোষণা করেন রবিবার সেপ্টেম্বরের প্রথম দিন কলকাতার রাস্তায় মহা মিছিল করার।
আর এই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি এবং তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে এবারে মুখোশ খুলে বাইরে এসেছে সিপিএম।
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে টলিউডের তারকারা ধর্মতলায় অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন। আজ কলেজ স্কোয়ার থেকে বিশাল মহামিছিলের আয়োজন করা হয়, যা ধর্মতলার দিকে এগোতে থাকে। এই মিছিলে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি অংশগ্রহণ করেন সোহিনী সরকার, অপর্ণা সেন, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, চৈতি ঘোষাল, লগ্নজিতা সহ একাধিক জনপ্রিয় টলিউড তারকা।
প্রথমেই তাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো, যেখানে তারা একযোগে ‘ন্যায়বিচার চাই’ স্লোগান তুলে ধরেন। মিছিলটি কলেজ স্কোয়ার থেকে শুরু হয়ে ধর্মতলায় এসে শেষ হয়। ধর্মতলায় এসে তারকারা ঘোষণা করেন, তাঁরা আজ ভোর ৪টে পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবেন। তাঁদের দাবি, আরজি কর কাণ্ডের যথাযথ তদন্ত এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হোক।
এর পাশাপাশি, মিছিলে অংশগ্রহণকারী সকলেই জানিয়েছেন, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সাথে সংহতি প্রকাশের মাধ্যমে এই আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করতে চান তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে সরকারের কাছে তাঁদের আবেদন, যাতে দ্রুত এই ঘটনার বিচারের ব্যবস্থা করা হয় এবং অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়।