সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
আরজি কর কাণ্ডের (R G Kar Incident) প্রতিবাদে প্রতিদিনই সুর চড়াচ্ছেন ডাক্তাররা। স্বাস্থ্যভবনের পর সোমবার লালবাজার অভিযান। এদিন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট পথে নেমেছে। কলকাতার পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে অনড় তাঁরা।
এদিন রাতের দিকে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের দিকে যখন ডাক্তারদের মিছিল চলছিল, তখন তাঁদের আন্দোলনে শামিল হতে চলে এসেছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) ও অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)।
বঙ্গ রাজনীতির দুই মুখকে দেখে তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন ডাক্তাররা। তাঁদের আন্দোলনে কোনও রাজনীতির রং লাগতে দেবেন না বলেই তাঁরা অভিজিৎ-রুদ্রনীলকে দেখে Go Back স্লোগান তোলেন। আর এরপরেই ওই মিছিল ছেড়ে বেরিয়ে যান অভিজিৎ-রুদ্রনীল। আর জি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের খুন-ধর্ষণের পর ২৪ দিন পার, এখনও কিনারা হয়নি সেই রহস্যের। এই প্রেক্ষাপটেই আজ লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন ডাক্তাররা
গত ১৪ অগাস্ট রাতে আর জি কর মেডিক্যালে হামলার সময় কেন নিষ্ক্রিয় ছিল পুলিস? প্রশ্ন তুলে বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি, গোটা ঘটনায় পুলিস নিষ্ক্রিয় ছিল। নির্যাতিতার মৃত্যুর তদন্তে গাফিলতি করেছে পুলিস। তার দায় কমিশনার গোয়েলের। সুতরাং তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে। সেই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদেরও অপসারণ করতে হবে।
প্রতিকী মেরুদণ্ড আর গোলাপ নিয়ে মিছিল শুরু করেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। দুপুর দুটো থেকে শুরু হয়েছিল এই মিছিল। এই মিছিলের জেরে কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট। বউবাজারেও ছিল বজ্র আঁটুনি। মিছিল রুখতে লাঠি-ঢাল হাতে ছিল পুলিস। ফিয়ার্স লেনে দেখা গিয়েছে ৯ ফুটের ব্যারিকেড। লাঠি,ঢাল ও কাঁদানে গ্যাস নিয়ে মিছিল রুখতে প্রস্তুত পুলিস। লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরাও। লালবাজার কার্যত দুর্গের রূপ নিয়েছে।
তবে জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আমরা মনে করি গণতান্ত্রিক আন্দোলন করার অধিকার সকলের আছে। আমাদের নির্দিষ্ট দাবি আছে। আমাদের অবস্থান চলতে থাকবে। আমাদের দফা এক দাবি এক বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ।
এদিন কামদুনির দুই প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী ও টুম্পাও এই অভিযানে শামিল হন।