ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী, বাংলাদেশ।
রাজশাহীতে গুলিবিদ্ধ ছাত্রশিবির নেতা আলী রায়হানের (২৮) হত্যা মামলার আসামি মোহাইমেনুল ইসলাম মানিক , ও তার ছোট ভাই সুজন ইসলামকে গ্রেফতার করেছেন র্যাব-৫ ।
রাজশাহী মহানগরীর আলুপট্রিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত সোমবার ( ৫ আগস্ট ) দুপুর ১২ ঘটিকার সময় সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ আলী রায়হান (২৮) নামের এক তরুণ রামেক হাসপাতালে (৮ আগস্ট) মৃত্যু বরণ করেন। তিনি রাজশাহী মহানগর ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। সোমবার (১৯ আগস্ট ) রাত সোয়া ১১টার দিকে বোয়ালিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন নিহত আলী রায়হানের ভাই রানা ইসলাম (২১) মামলা নং ১৫ ।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) রাতে র্যাব-৫ এর একটি দল নগরীর চন্দ্রিমা থানার মেহেরচন্ডি এলাকা থেকে আলী রায়হান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোহাইমেনুল ইসলাম মানিক (৩৮), ও তার ছোট ভাই ছাত্রলীগ নেতা ও রুয়েটের কর্মকর্তা সুজন ইসলামকে (৩০) গ্রেফতার করেন।
মোহাইমিনুল ইসলাম মানিক। রাজশাহীতে টেন্ডার মানিক নামেই পরিচিত। মানিক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্ভেয়ার পদে চাকরি করেন। তবে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েটে) ঠিকাদারি কাজ করেন বেনামে। এখন তিনি বিপুল অর্থের মালিক। নির্মাণ করেছেন আলিশান বাড়িও।
কিছুদিন পরপরই দেশে-বিদেশে ঘুরে বেড়াতেন তিনি । রাজশাহী নগরীর মেহেরচন্ডি এলাকার ভ্যানচালক মনোয়ার হোসেনের ছেলে মানিক রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সার্ভে ইন্সটিটিউট থেকে সার্ভে ইঞ্জিনিয়ারিং পদে পাশ করেন ২০০৬ সালে। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর মানিক তৎকালীন মহানগর ছাত্রলীগ নেতা কিটুর হাত ধরে ছাত্রলীগে ভিড়ে যান। এরপর তিনি বাগিয়ে নেন মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির পদ। পরে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের আশীর্বাদে রাতারাতি টেন্ডার মানিক হয়ে যান মতিহার থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
রুয়েটের প্রকৌশল শাখার একটি সূত্র থেকে জানা যায়, বর্তমানে টেন্ডার মানিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে রুয়েটে কোটি টাকার কাজ করছেন। এর মধ্যে রয়েছে আইকন এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স জনি ট্রেডার্স, মেসার্স মাবরুকা ট্রেডার্স , বসুন্ধরা এন্টারপ্রাইজ । টেন্ডার ছাড়াই কোটেশনের মাধ্যমে এসব কাজ হাতিয়ে নিয়েছেন টেন্ডার মানিক।রাবিতে চাকরি করলেও মানিক দিনের বেশির ভাগ সময় কাটাতেন কর্মস্থলের বাইরে রুয়েটে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভেয়ার মোহাইমিনুল ইসলাম মানিক গ্রেফতারের বিষয় জানতে রাবির প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হইলে তিনি বলেন যে আমি মানিকের গ্রেফতার বিষয়ে কিছু জানিনা ।তিনি আমাদের আরো জানান যে মানিক কিছুদিন আগে রাবির স্টেট শাখায় বদলি হয়ে প্রকৌশল শাখা থেকে চলে যান ।