সুহানা বিশ্বাস। কলকাতা সারাদিন।
উত্তর প্রদেশের বেয়ারেলি থেকে এমন এক ঘটনা সামনে এসেছে, যা দেখে আদালতও বিস্মিত হয়েছে। এক পুরুষকে, যে কোনো অপরাধ করেনি, তাকে মেয়েদের নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগে ৪ বছরের জেল খাটতে হয়েছে।
এই মিথ্যা অভিযোগের কারণে যুবকটির জীবন সম্পূর্ণ বদলে যায়। আদালতে শুনানির সময় মিথ্যা অভিযোগকারী মেয়েটি যখন তার সাক্ষ্য থেকে পিছু হটে, তখন আসল সত্য উদঘাটিত হয়।
আদালত তার রায়ে যুবকটিকে মুক্ত ঘোষণা করে এবং একই সঙ্গে মেয়েটিকেও সেই চার বছরের জেলের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, যতদিন যুবকটি জেলে ছিল, ততদিন মেয়েটিকেও জেলে থাকতে হবে। এছাড়াও মেয়েটির ওপর আর্থিক জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, যুবকটি যদি বাইরে থাকত, তবে এই সময়ে কাজ করে ৫,৮৮,০০০ টাকার বেশি উপার্জন করতে পারত। তাই এই অর্থ মেয়েটির কাছ থেকে আদায় করে যুবককে দেওয়া হবে। যদি এই অর্থ প্রদান না করা হয়, তবে মেয়েটিকে অতিরিক্ত ৬ মাসের শাস্তিও ভোগ করতে হবে।
রায়ের পর যুবকের কষ্টের গল্প
আজতকের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, নির্দোষ যুবক অজয় ওরফে রাঘব জানান, ২০১৯ সালে একটি অনুষ্ঠানের সময় তার সঙ্গে মেয়েটির বড় বোন নীতুর পরিচয় হয়েছিল। নীতু তাকে অনুষ্ঠান শেখাতে বলেছিল, যার কারণে তিনি তাদের বাড়িতে যেতেন। প্রতিবারই নীতুর স্বামী সঙ্গে থাকতেন।
কিন্তু একদিন মেয়েটি অজয়ের বিরুদ্ধে অপহরণ এবং ধর্ষণের অভিযোগ করে, যা তার জীবনকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়।
আদালতের ঐতিহাসিক রায়
অজয় আরও জানান, তার ক্যারিয়ার এবং সম্মান এই মিথ্যা অভিযোগে নষ্ট হয়েছে। আদালত তাকে দোষমুক্ত করলেও, মেয়েটির মিথ্যা অভিযোগ তার জীবনের উপর থেকে কোনো দিনও মুছে ফেলা যাবে না।
মেয়েটির প্রতারণার প্রমাণ
মামলার শুনানির সময় মেয়েটি প্রথমে বলেছিল, সে নিরক্ষর এবং সাইন করতে জানে না। কিন্তু সাক্ষ্য দেওয়ার সময় সে ইংরেজিতে সাইন করে, যা দেখে বিচারক বুঝতে পারেন, মেয়েটি মিথ্যা বলছে। এরপর মেয়েটিকে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য শাস্তি দেওয়া হয়।
মহিলাদের মিথ্যা অভিযোগের বিপদ
আদালত জানিয়েছে, মহিলাদের এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগের কারণে প্রকৃত নির্যাতিত মহিলাদের ক্ষতি হয় এবং সমাজের জন্য এটি একটি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। কোনো মহিলাকে পুরুষদের অধিকার ক্ষুণ্ণ করার সুযোগ দেওয়া যাবে না।