সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরেই সাসপেন্ড হলেন আসানসোলের বারাবনি থানার OC মনোরঞ্জন মণ্ডল। ওই সাব ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে অপেশাদার মনোভাব ও কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে।
গতকালই নবান্নে পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ করেন, টাকা নিয়ে কয়লা, বালিপাচারের মতো বেআইনি কারবারে সাহায্য করছে পুলিশের নিচুতলার একাংশ।
স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী এই অভিযোগ তোলার পর প্রশাসনিক মহলে তৎপরতা শুরু হয়। সাসপেন্ড করা হয় বারাবনি থানার OC মনোরঞ্জন মণ্ডলকে। আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুনীলকুমার চৌধুরীর সই করা নির্দেশনামায় ওই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরুরও উল্লেখ রয়েছে। সম্প্রতি ভাইরাল ভিডিয়োয় বারাবনি থানায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতির জন্মদিনে তাঁকে কেক খাওয়াতে দেখা যায় OC-কে।
প্রসঙ্গত, কসবাকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলেরই একাধিক নেতা-মন্ত্রী। এই আবহে গতাকাল নিচুতলার পুলিশ কর্মী ও সরকারি কর্মচারীদের একাংশকেই কার্যত কাঠগড়ায় তোলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। দুর্নীতি বরদাস্ত না করার বার্তার পাশাপাশি CID-কে ঢেলে সাজানোরও ঘোষণা করেন মুখ্য়মন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, নিচু তলার কিছু অফিসার, কিছু কর্মী যাঁরা এই সরকারকে ভালবাসে না। এবং তোমার পুলিশেরও কিছু লোক তারা টাকা খেয়ে আজকে বালি চুরি বলো, কয়লা চুরি বলো, সিমেন্ট চুরি বলো।’
কলকাতা থেকে জেলা, দিকে দিকে যখন তৃণমূল নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে কাটমানি-তোলাবাজির অভিযোগ উঠছে, বিরোধীরা যখন এ নিয়ে সোচ্চার, তখন তা নিয়ে কিছু না বললেও উল্টে নিচুতলার পুলিশ কর্মী ও সরকারি কর্মচারীদের একাংশকেই কার্যত কাঠগড়ায় তোলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।
মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, ‘পলিটিক্যাল নেতাদের নামে সবাই বদনাম করে বেশি। পাঁচ টাকা খেলে ৫০০ টাকা বলে দেয় চোর। পলিটিক্যাল নেতারা টাকা খাওয়ার আগে ১০ বার ভাবে। জনগণের টাকা খাওয়া কি উচিত? তাদের নিজস্ব একটা দায়বদ্ধতাও থাকে। চুরি হলে তখন বলবে কয়লা চুরি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর চুরি করবে CISF টাকা খেয়ে বা পুলিশের একাংশ টাকা খেয়ে আমি এটা বরদাস্ত করব না। যদি কোনও রাজনৈতিক দলের লোকও খায় তার কলার চেপে ধরো।’