কোনো গোলমাল চলছে বা মেলার ভিড়ে কোনো ঘটনা ঘটেছে , একসঙ্গে বহু মানুষের কাছে পুলিশের বার্তা পৌঁছে দেবে ‘ টকিং ড্রোন ‘।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ এটি বানিয়েছে ।
এর মধ্যে রয়েছে হাই ফ্রিকোয়েন্সি সেন্সর। যার সাহায্যে পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার
পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার জানান , রাজ্যের মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ এটি প্রথম এনেছে। মঙ্গলবার ছিল পশ্চিমমেদিনীপুর জেলা পুলিশের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
মঞ্চে থাকা পুলিশ সুপারের বার্তা সেই টকিং ড্রোনের মাধ্যমে সেখানে মাঠে ক্রীড়াবিদদের কাছে পৌঁছে যায়। তিনি জানান আধুনিক এ আই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ড্রোন এখন শুধুমাত্র ছবি তোলা বা ভিডিও করার জন্য নয় বহু কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। রাশিয়া – ইউক্রেনের যুদ্ধ হোক বা দুর্গম এলাকায় খাবার ও ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার কাজে লাগছে এটি।
তিনি আরো জানান , আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে এই টকিং ড্রোন খুব কার্যকরী। লোহার ব্যারিকেড থেকে পুলিশের হ্যান্ড মাইকের সাহায্যে বার্তা দেওয়া হয়। এবার থেকে টকিং ড্রোন বিক্ষোভ কারী দের মাথায় উড়বে। পুলিশের বার্তা পৌঁছে দেবে। ২০০ মিটার দূর থেকে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ ২৩ তম বর্ষ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে জেলা পুলিশের নিজস্ব উদ্যোগে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বিশেষ টকিং ড্রোন এর উদ্বোধন করেন এডিজি অশোক প্রসাদ।
মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে ২৩ তম বর্ষ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় মেদিনীপুর পুলিশ লাইনে। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ডাক্তার মানস রঞ্জন ভুঁইয়া , রাষ্ট্রমন্ত্রী শিউলি সাহা, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভারানী মাইতি, সহ সভাধিপতি অজিত মাইতি, এডিজি অশোক প্রসাদ, জেলা শাসক খুরশিদ আলি কাদেরি , পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার সহ আরো অনেকে। মঙ্গলবার ওই প্রতিযোগিতায় ৪৮টি ইভেন্টে ১৬০০ জন প্রতিযোগী অংশ নেন।