সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষ্যে ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। আর সেই ব্যবস্থাই এখন কাজে লাগল দেখা গিয়েছে। আজ, রবিবার গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণে দুই পুণ্যার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাজ্য সরকার যে ব্যবস্থা করেছিল তার সাহায্যেই ওই দু’জন পুণ্যার্থীকে এয়ারলিফট করে কলকাতায় নিয়ে আসা সম্ভব হল। কারণ প্রশাসন দ্রুততার সঙ্গে তৎপর হয়ে কাজ করল।
গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গন থেকে দুই পুণ্যার্থীকে এয়ারলিফট করল প্রশাসন। তাঁদের মধ্যে একজন ভিনরাজ্যের বাসিন্দা। দুজনই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সাগর এলাকায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর হেলিকপ্টারে করে তাঁদের কলকাতায় আনা হয়েছে। সূত্রের দাবি হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছে তাঁদের।
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের বারাবাঁকি থেকে পুণ্যস্নানের জন্য গঙ্গাসাগরে এসেছিলেন ৭০ বছর বয়সি ঠাকুর দাস। মেলা প্রাঙ্গণে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। অস্থায়ী হাসপাতালে আনা হলে বোঝা যায় স্ট্রোকে আক্রান্ত তিনি। সঙ্গে সঙ্গে এয়ার লিফট করে এনে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে সূত্রের দাবি।
রবিবার গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণে আর একজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার তালদির বাসিন্দা মহারানি মণ্ডল (৮৫)। তাঁকেও অসুস্থ অবস্থায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। পরীক্ষা করে দেখা যায়, তাঁর সারা দেহে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। কিডনির মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়। তার উপর তিনি অ্যানিমিয়া ও উচ্চ রক্তচাপের রোগী। বৃদ্ধার এই শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় দ্রুততার সঙ্গে তাঁকে এয়ারলিফট করে কলকাতায় হয়। তাঁকেও আজ এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পর পর এই ঘটনায় প্রমাণ হল, কতটা সক্রিয় জেলা প্রশাসন এবং কেমন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
সাগর মেলায় প্রতি বছর লক্ষ-লক্ষ পুণ্যার্থী আসেন। তাঁদের সুবিধার্থে মেলা চত্বরে হাসপাতাল, অ্যাম্বুল্যান্স ও এয়ারলিফটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সাগরের হাসপাতালগুলিতে শুধু মেলার জন্য ৫১৫টি বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইসিইউ’র ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেখানে থাকছেন পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স এবং প্যারামেডিক্সও। গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষ্যে ১০০টি অ্যাম্বুল্যান্স, ৪টি ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্স, ১টি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সেরও ব্যবস্থা রয়েছে।