সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
১৩ নভেম্বর বাংলার ৬ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। আজ সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানান, আগামী ১৩ নভেম্বর এবং ২০ নভেম্বর দু’দফায় দেশের দুটি লোকসভা এবং ৪৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। এর মধ্যে ১৩ নভেম্বর যে যে কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে, তার মধ্যে বাংলার ৬টি কেন্দ্র রয়েছে।
বাংলার নিম্নলিখিত বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে উপনির্বাচন হবে – উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নৈহাটি এবং হাড়োয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর, বাঁকুড়া জেলার তালড্যাংরা, আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট এবং কোচবিহার জেলার সিতাই।
এদিন মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্টও ঘোষণা করে কমিশন। একদফায় বিধানসভা ভোট হতে চলেছে মহারাষ্ট্রে। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২০ নভেম্বর মহারাষ্ট্রে ভোট হবে। আর ঝাড়খণ্ডে ভোট হবে দু’দফায় – ১৩ নভেম্বর এবং ২০ নভেম্বর। দুই রাজ্যের ভোট গণনা ২৩ নভেম্বর।
২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভার মেয়াদ ২৬ নভেম্বর শেষ হবে। আর ৮১ আসন বিশিষ্ট ঝাড়খণ্ড বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালে ৫ জানুয়ারি।
নির্বাচন কমিশন আগস্টে হরিয়ানা ও জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচন ঘোষণা করেছিল। সেই সময় মনে করা হয়েছিল, কমিশন মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনেরও নির্ঘণ্ট ঘোষণা করবে, কিন্তু তা হয়নি। এর আগে হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে অন্তত তিনবার একসঙ্গে নির্বাচন হয়েছে। এই নিয়ে চারবার মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডে একসঙ্গে ভোট হবে।
মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন জোট মহাযুতিতে রয়েছে বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপি। এই জোট কংগ্রেস, শরদ পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি (এনসিপি-এসপি) এবং উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা (ইউবিটি) অন্তর্ভুক্ত মহা বিকাশ আঘাদির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
ঝাড়খণ্ডের ক্ষমতাসীন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) ইন্ডিয়া জোটের অংশ। ইন্ডিয়া জোট ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন এনডিএ বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। বিজেপি ছাড়াও অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (এজেএসইউ) এবং জনতা দল (ইউনাইটেড) এনডিএ-তে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
মহারাষ্ট্রে নির্বাচনের ঘোষণা প্রসঙ্গে শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা সঞ্জয় রাউত বলেছেন, “আমরা নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম, নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে, আমরা প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে এতটাই প্রত্যাশা করি যে হরিয়ানার মতো এই রাজ্যে নির্বাচন পরিচালনা করা উচিত নয়, হরিয়ানায় কী হয়েছে তা পুরো দেশের মানুষ দেখছে। ইভিএম হোক বা পোস্টাল ব্যালট, সবাই দেখেছে কী হয়েছে। টাকার খেলা চলবে, পুলিশ ও সিস্টেম ব্যবহার করা হবে। নির্বাচন কমিশন যদি নিজেকে নিরপেক্ষ মনে করে তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে”।
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা বালাসাহেব থোরাত বলেছিলেন, “এখন নির্বাচন শুরু হবে। নির্বাচন এতটা স্থগিত করায় নির্বাচন হবে কি হবে না তা নিয়ে জনগণের মধ্যে সংশয় ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত… আমরা এই সপ্তাহে আসন নিয়ে আলোচনা শেষ করব।”
6 assembly seats from Bengal will be going for bypoll on 13th Nov. Result will be declared on 23th Nov.
These 6 assembly bypolls will decide the fate and future of the ongoing junior doctors movement.