ডা: মো: হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী, বাংলাদেশ।
রাজশাহীতে এখন পর্যন্ত ২৫৬টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা হয়নি। এছাড়া লুট হওয়া ৬৫০ রাউন্ড গুলিও জমা হয়নি। এসব অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসী ও মাদকের গডফাদারদের গ্রেপ্তারে মঙ্গলবার (৩ সেক্টম্বর) রাত থেকে যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু হবে।
রাজশাহীর নতুন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুজ্জামান আজ বিকেলে নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস বিফ্রিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। এ সময় জেলা পুলিশের অন্যান্য ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসপি আনিসুজ্জামান জানান, ২৫৬টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ৯৮টি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) বিভিন্ন থানা থেকে লুট হয়েছে। এছাড়া, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কাছে লাইসেন্স করা ১৫৮টি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা এসব আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেননি।
তিনি আরও জানান, জেলা পুলিশের থানাগুলো থেকে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র লুট হয়নি। তবে, ৬৫০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে। এছাড়া ১১টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জমা না দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ও নাশকতাকারীদের ধরতে আজ রাত থেকেই যৌথবাহিনী অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে।
আনিসুজ্জামান জানান, যৌথ বাহিনীতে সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার এবং জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। সবার সমন্বয়েই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলবে। তারা নাশকতাকারীদেরও আইনের আওতায় আনবেন।
এ সময় তিনি আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে সবার সহযোগিতা চান। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এসপি বলেন, ‘বিভিন্ন ইউনিটের অনেক পুলিশ অফিসার পালিয়ে গেছেন। যারা আছেন তারা কোন অপরাধ করেননি।
তাদের অভিভাবকের নির্দেশনার অভাব ছিল। তারা এখন সম্পূর্ণ অপারেশনে আছেন। কাল-পরশু থেকে টহলসহ পুলিশি কার্যক্রম বৃদ্ধি পাবে। সমাজে পুলিশের অভাবে যে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই তা আর হবে না।