সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
বাংলায় স্বাস্থ্য ভবন চালানোর পিছনে রয়েছে কি কোন ডার্ক লর্ড? আরজিকর সবকটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দুর্নীতির পেছনে কি রয়েছে তার অঙ্গুলি হেলন? এমন বিস্ফোরক প্রশ্ন তুলে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
টেলিগ্রাফ পত্রিকার একটি প্রতিবেদনকে উল্লেখ করে তিনি রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশার পেছনে গল্পটা উল্লেখ করতে চেয়েছেন। আজ নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকার একটি অন্তর্তদন্তমূলক একটি আর্টিকেল থেকে এক চিকিৎসকের কথা জানা যাচ্ছে যিনি পর্দার আড়ালে থেকে গোটা স্বাস্থ্য দফতরকে পরিচালিত করতেন। বাংলার স্বাস্থ্যদফতরের এক পদস্থ আধিকারিক সম্প্রতি মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালদের বলেছিলেন পরীক্ষার ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে হবে। সেই সঙ্গেই উল্লেখ করেছিলেন দফতরটা স্বাস্থ্য ভবন থেকে পরিচালিত হয় না।
সম্প্রতি সেই মানুষটির নাম ক্রমেই প্রকাশ্যে আসছে যিনি বদলির পলিসি থেকে জিনিসপত্র কেনা সবকিছুর পেছনে ছিলেন। তবে তাঁর নাম এখনও পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়নি। হ্যারি পটার সিরিজের মতো এই মানুষটা হলেন সুপার হেলথ মিনিস্টার। চার পাঁচ বছর আগে থেকে এই মানুষটি যাবতীয় কাজ করছে পেছন থেকে। এখনও তিনি কলকাঠি নাড়াচ্ছেন।
তবে কিছুজনকে গত ৯ অগস্ট ওই সেমিনার রুমের মধ্যে দেখা গিয়েছিল। তাদের উপস্থিতি নিয়েও নানা প্রশ্ন রয়েছে। সেই সময় প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। সিবিআই ও ইডির গোটা বিষয়টি দেখা দরকার। তদন্তের আওতায় এবার সেই অন্তরালে থাকা মানুষটিকে আনা দরকার। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করাটা বিশেষভাবে দরকার। জানিয়েছেন শুভেন্দু।
অন্যদিকে, নৈহাটির ঘোষপাড়া রোডে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ ও ন্যায়বিচারের দাবিতে নাগরিক সমাজের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পথে নামলেন। তাঁর সঙ্গে মিছিলে যোগ দেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং এবং অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় নেতারা। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা শ্লোগান দেন, “দফা এক, দাবি এক-মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ।” শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনাকে “ন্যক্কারজনক” বলে বর্ণনা করেছেন এবং তৃণমূলের ওপর হামলার দায় চাপিয়ে রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন।
সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হানা নিয়ে শুভেন্দুকে প্রশ্নের প্রেক্ষিতে উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “সন্দীপ ঘোষ, সুদীপ্ত রায়, বিরুপাক্ষ বিশ্বাস, অভিক দে , সুশান্ত রায় এরা একটা রাকেট চালায়। সুদীপ্ত রায় প্রত্যক্ষভাবে এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি আরজিকর থেকে সমস্ত মেশিন সিঁথির মোড়ে তার নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়েছেন। কাজেই তার বাড়িতে শুধু হানা দিলেই হবে না। আমি মনে করি, তাকে হেফাজতে নেওয়া উচিত।”