সুমনা মিশ্র। কলকাতা সারাদিন।
মুম্বইয়ে দুর্গাপুজো মানে শুধু লোখান্ডওয়ার পুজো বা উত্তর মুম্বই সর্বজনীন মানে রানি-কাজলের পুজো, মানে মুখার্জিবাড়ির পুজো বা ভাসির বড় পুজো নয়।
মুম্বইয়ের আরেকটি বড় পুজো হল জুহুতে অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির দুর্গাপুজো। বেশ অনেকদিন ধরেই দুর্গাপুজো করছেন বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় ৷ মুম্বইয়ে থাকলেও, তিনি আদতে বাঙালি ৷ কথায় আছে যে, ‘বাঙালি যেখানে যায় ৷ এক টুকরো বাংলা তৈরি করে নেয় ৷ সেই কথা মতোই মুম্বইয়ে এক্কেবারে বিরাট আয়োজন করে দুর্গাপুজো করেন অভিনেতা বিশ্বজিৎ।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী অর্পিতা এই সময় মুম্বই যান। বিশ্বজিৎবাবুর সেই পুজোতে হাজির হন তাঁর পুত্রবধূ অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়।
শুধু হাজির থাকা নয় ৷ শ্বশুরবাড়ির পুজোয় নিজের হাতে সবাইকে পুজোর ভোগ পরিবেশনও করেন তিনি।
একটি সাক্ষাৎকারে অর্পিতা বলেছিলেন, ‘‘আমার শ্বশুরমশাই বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় সব সময় বলেন, মা দুর্গার ভোগ মানুষকে নিজে হাতে পরিবেশন করে দেওয়ার জন্যই। আমাদের পুজোয় কেউ যেন না খেয়ে ফিরে না যায়। এই ভাবনাকে শ্রদ্ধা করি।’’
হৃত্বিক রোশন এবং তাঁর বাবা রাকেশ রোশনকে প্রায় প্রতি বছর এই প্যাণ্ডেলে দেখা যায়৷
বিশ্বজিতের পুজো মণ্ডপ এ বার অমিতাভ বচ্চনের বাংলো ‘জলসা’র পাশেই। এই পুজোর বড় আকর্ষণ মায়ের ভোগ প্রসাদ। বিশ্বজিৎ নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ভোগ খাওয়ান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও সুন্দর হয় বিশ্বজিতের পুজোয়। মণ্ডপের কাছে বহু স্টল থাকে। পাওয়া যায় কলকাতার চপ-কাটলেট!