মফিজুল ইসলাম। কলকাতা সারাদিন।
নতুন সরকার, সেই সরকার গড়ছে নতুন দেশ। নতুন এই বাংলাদেশে কি দুর্গাপুজো হবে? এই প্রশ্ন অনেকের মনেই। হাসিনা সরকার পতনের পরই বাংলাদেশে হামলার মুখে পড়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুরা। ভাঙচুর করা হয়েছে তাদের বাড়িঘর, দোকানপাট। এই পরিস্থিতিতে যখন উদ্বেগে সবাই, তখন মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার আশ্বাস দিয়েছে যে বাংলাদেশে আগের মতোই দুর্গা পুজো হবে।
তবে কিছু শর্ত চাপানো হয়েছে এইবার। কী সেই শর্ত?
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে চলতি সপ্তাহেই জানানো হয়েছিল যে প্রতিবারের মতো এবারও দুর্গাপুজো হবে ওপার বাংলায়। বিগত কয়েক বছরে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে হামলা চালানোর মতো যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, তা এড়ানোর জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হবে।
এরইমধ্যে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে দুর্গাপুজো নিয়ে কিছু ফতোয়া জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবারই পুজো উদযাপন পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী। বৈঠক শেষে তিনি জানান, দুর্গামণ্ডপগুলির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মণ্ডপে যাতে হামলা না চলে, তার জন্য স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে, যারা মণ্ডপ পাহারা দেবেন। স্থানীয় বাসিন্দা বা পুজোর সঙ্গে যুক্ত যারা, তাদেরই স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে নিয়োগ করা হবে। বিভিন্ন শিফটে তাদের এই দায়িত্বভার দেওয়া হবে।
এর পাশাপাশি ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে মসজিদে আজানের সময় মণ্ডপে ঢাক-ঢোল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজানের ৫ মিনিট আগেই মাইক ও যাবতীয় বাদ্যযন্ত্র বাজানো বন্ধ করতে হবে। আজান শেষের পরই ফের মাইক বা ঢাক বাজানো যাবে।
এর আগে ধর্মীয় বিষয়ক পরামর্শদাতা খালিদ হোসেনও জানিয়েছিলেন, মণ্ডপে যাতে কোনও হামলা বা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য স্থানীয় বাসিন্দা ও মাদ্রাসার পড়ুয়ারা মণ্ডপ পাহারা দেবে।