শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
বাংলার রাজনীতিতে অনেক আগেই শূন্যে পরিণত হয়েছে সিপিএম। এমন অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী পর্যন্ত।
অথচ এবারের সেই শূন্য সিপিএম গোহারান হারালো তৃণমূলকে।
সমবায় নির্বাচনে ধরাশায়ী তৃণমূল। ১৫ বছরের রেকর্ড এবারও ধরে রাখল বামেরাই। রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর-২ ব্লকের জগন্নাথপুর খুকুড়দা সমবায় সমিতির নির্বাচন ছিল। সেই ভোটে জোটে এবারও বোর্ড ধরে রাখল বাম সমর্থিত সমবায় বাঁচাও মঞ্চ।
এই সমবায় সমিতিতে মোট ৪৮টি আসনে ভোট হয়। বিকালে ভোটের ফল বেরোনোর পর দেখা যায় ৪৬টি আসনে এগিয়ে সমবায় বাঁচাও মঞ্চ, মাত্র ২টি আসনে জিতেছে তৃণমূল। ফল ঘোষণার পরই লাল আবিরে ছেয়ে যায় এলাকা।
সমবায় বাঁচাও মঞ্চের নেতা রামচন্দ্র মাইতি বলেন, মানুষের ভরসার ফলাফল এটা। মানুষ তাঁদের উপর ভরসা রেখেছেন, তাই এই সমবায় সমিতিতে তাঁরাই জিতেছেন। তবে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি আশিস হুদাইতের বক্তব্য, “বামেরা মঞ্চ গড়ে ভোটে জিতেছে। ১৫ বছর ধরে তারা এই সমবায় সমিতিতে ক্ষমতায় আছে। বিরোধীদের সদস্য পদ সেই ভাবে দেওয়া হয়নি। তাই এবারও সমবায় সমিতিতে তারা জয় লাভ করতে পেরেছে।”
সমবায় বাঁচাও মঞ্চের নেতা রামচন্দ্র মাইতির কথায়, “বিরোধীদের অনেক চক্রান্ত ছিল। অনেক অভিসন্ধি ছিল। সমস্ত কিছুকে ব্যর্থ করে দিয়ে মানুষ সমবায় বাঁচাও মঞ্চের প্রার্থীদের জয়ী করেছেন। আমাদের সাফল্য দেখেই আবারও নির্বাচিত করেছেন মানুষ। আমরা জানতাম, মানুষ আমাদের সঙ্গে থাকবেন। আমরা যেভাবে কাজ করেছি, সকলে তার সুফল পেয়েছে।”