শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
হুগলির তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসি-কে দায়ী করেছেন, যেমনটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন। তবে দোষারোপ করার সময় তিনি তরল এবং কঠিন পদার্থের একক গুলিয়ে ফেলেছেন। তারকা সাংসদ গম্ভীর ভাবে বলেন, “কুইন্টাল কুইন্টাল জল বেরিয়ে আসছে। মানুষের বাড়িঘর কিচ্ছু নেই, সবাই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন। আর ডিভিসি বলছে, তারা জানিয়ে দিয়েছে!” রচনা জানান, তিনি সত্যিটা জানেন না। তবে যা ঘটেছে, তা ঠিক নয়।
সাংসদের এই কিউসেক এবং কুইন্টাল গুলিয়ে ফেলার বিষয়ে কটাক্ষ করে বিজেপি বলেছে, “তাকে মিউজিয়ামে রাখা উচিত।”
বুধবার বন্যাবিধ্বস্ত বলাগড়ের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন রচনা। চাঁদরা, মিলনগর, চরখয়রামারি-সহ ভাঙন এবং বন্যাকবলিত এলাকায় যান। তিনি জানান, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানে কেন্দ্র সাহায্য করেনি, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছেন। বলাগড়ে ভাঙন নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনও পরিকল্পনা করা যায় কিনা তা দেখা হবে। রচনা ডিভিসি-কে নিশানা করে বলেন, “যা ঘটেছে, তা খুবই খারাপ। মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন, সে বিষয়ে আমি আর কিছু বলব না। উনি আমাদের গুরুজন।”
হুগলি জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ রচনার ‘কুইন্টাল’ মন্তব্য নিয়ে মন্তব্য করেন, “মুখ্যমন্ত্রীর উচিত হুগলির সাংসদকে মিউজিয়ামে রাখা। সাংসদ বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকার কুইন্টাল কুইন্টাল জল ছেড়েছে! জল কুইন্টালে কবে থেকে মাপা হয়? তার ন্যূনতম জ্ঞান নেই। তাই ভুল বলছেন। সাধারণ মানুষের দুঃখ রয়েছে কপালে।”
নির্বাচনী প্রচারে সিঙ্গুরের গরুর দুধ থেকে তৈরি দই কেন ভাল তার ব্যাখ্যা দিয়ে কটাক্ষের শিকার হন রচনা। রাইস মিলের চিমনির ধোঁয়া দেখে তৃণমূল প্রার্থী প্রশ্ন করেন, “হুগলিতে কি শিল্প হয়নি?” যা নিয়ে সমাজমাধ্যমে বিস্তর মিম ছড়িয়েছে। তবে সাংসদ বলেন, মিম তাঁর ভাল লাগে। এক বিজেপি নেতা কটাক্ষ করে বলেন, “মিম তৈরির রসদ তিনি নিজেই দেন। মিম করা মানুষের দোষ কী?”