সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সায়নী ঘোষ দলীয় কর্মীদের জুতোপেটা করার নিদান দিলেন। এই কর্মীরা দলের নাম ভাঁড়িয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করছে। যার ফলে দলের বদনাম হচ্ছে বলে সায়নীর অভিযোগ। মানুষকে পরিষেবা দেবে বলে টাকা নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ তাঁর। আর এভাবে দলে থেকে দলের বদনাম যারা করছে তাদের জুতোপেটা করার কথা বলেছেন যাদবপুরের সাংসদ।
এই মন্তব্যে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য-রাজনীতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক খেটে এই দলকে তৈরি করেছে। তাই এখানে থেকে এসব পকেট ভরার কাজ করা চলবে না বলে সায়নীর বার্তা।
যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষ ভাঙড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয় সম্মেলনী সভায় যোগ দেন। আর সেখান থেকে প্রকাশ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের জুতো মারার নিদান দিলেন। বিধায়ক শওকত মোল্লাও নিজের দলের নেতাদের গালে থাপ্পর মারার নিদান দিলেন কর্মীদের। বিশেষ করে যেসব নেতা দলে থেকে লের বদনাম করার কাজ করছেন। ভাঙড় কলেজ মাঠে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয় সম্মিলনী সভা থেকে ধেয়ে আসে কড়া মন্তব্য। এখানে অনেক নেতা-কর্মী ছিলেন। আর সেই সভা থেকেই এমন নিদান শুনে চর্চা শুরু হয়ে যায় নিজেদের মধ্যে।
আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন আছে। তার প্রাক্কালে এমন কড়া মন্তব্য নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। প্রকাশ্যে মঞ্চ থেকে সাংসদ সায়নী ঘোষ বলেন, ‘যাঁরা দলকে বদনাম করার চেষ্টা করছেন এবং যাঁরা দলের নাম ভাঁড়িয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করছেন, মানুষকে নানান পরিষেবা দেবেন বলে তাঁদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার চেষ্টা করছেন, তাঁদের জুতোপেটা করবেন। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক খেটে এই দল তৈরি করেছেন। তাই যাঁরা নিজেদের পকেট ভরবেন বলে তৃণমূল কংগ্রেসে এসেছেন, তাঁদের স্থান তৃণমূল কংগ্রেসে নেই।’
সায়নীর পাশাপাশি বেশ আক্রমণাত্মক ছিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘ভাঙড়ে গরিব মানুষের জন্য ১৭ হাজার ঘরের অনুমোদন পাশ হয়েছে। সেই ঘরের জন্য সার্ভে চলছে। তাই আমাদের নেতাদের অনুরোধ করছি যে, আপনারা কোনও গরিব মানুষের কাছ থেকে ঘরের জন্য কোনও টাকা নেবেন না। আর যদি কোনও নেতা টাকা চাইতে যান, তাহলে তাঁর গালে থাপ্পড় মারবেন। তারপর আমাদের খবর দেবেন। কারণ এই ঘরের টাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিচ্ছেন। অনেক কষ্ট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার চালাচ্ছেন।’