সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
নিয়ম লঙ্ঘন করে বিধানসভা ভবনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে বিতর্কে জড়ালেন বাংলার দুই বিজেপি বিধায়ক। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে ঢোকার সময় ২ বিজেপি বিধায়ককে আটকাল পুলিশ। শঙ্কর ঘোষ, অশোক দিন্দাকে আটকালেন বিধানসভার নিরাপত্তারক্ষীরা। ২০২১ সালে বিতর্কের পর বিধানসভায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে না ঢোকার নির্দেশ দেন অধ্যক্ষ।
যদিও ২০২১ সালের সেই নির্দেশিকা থাকা সত্ত্বেও আজ মঙ্গলবার হঠাৎ করেই বিধানসভার গেটে তৈরি হয় ব্যাপক উত্তেজনা। দুজন সেন্ট্রাল সিকিউরিটি ফোর্স নিয়ে গাড়ি চেপে বিধানসভার ভেতর ঢুকতে যান বিজেপির মুখ্য সচেতন শংকর ঘোষ। চালকের আসনে ছিলেন আরেক বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা। গেটে তাদের আটকানো হয়। কারণ বিধানসভার অভ্যন্তরে সেন্ট্রাল সিকিউরিটি ফোর্স নিয়ে ঢোকা বারণ।
২০২১ সালে বিধানসভার অভ্যন্তরে সেন্ট্রাল সিকিউরিটি ফোর্স এর সঙ্গে একটা জটিলতা তৈরি হয়েছিল সাংবাদিকদের। এরপরই অধ্যক্ষ নির্দেশ দেন সেন্ট্রাল সিকিউরিটি ফোর্স নিয়ে ভেতরে ঢোকা যাবেনা। মূল গেটের বাইরেই তাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে। এই নিয়ে বিধানসভায় একাধিকবার বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রতিবাদে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী গেট থেকে গাড়িতে না চেপে পায়ে হেঁটে বিধানসভায় ঢোকেন।
মঙ্গলবার হঠাৎ করে দুজন বিজেপি বিধায়ক কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করায় বেশ কিছুটা আলোড়ন তৈরি হয়। শংকর ঘোষ নিরাপত্তা আধিকারিকের কাছে জানতে চান কাছে জানতে চান কি কারনে তাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কোন অর্ডার আছে। আধিকারিক জানান অধ্যক্ষের অর্ডার আছে। তারা সেই অর্ডারের কপি চান। শেষ পর্যন্ত সেই অর্ডারের কপি দেখার পর তারা সিকিউরিটি ফোর্সকে বাইরে পাঠিয়ে নিজেরা ভেতরে ঢোকেন।
বিধানসভা সূত্রে খবর অধ্যক্ষের এই অর্ডারের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে মামলা করেছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ বিধানসভার ভেতরে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সে কারণেই কি এদিন সিকিউরিটি ফোর্স নিয়ে বিধানসভার ভেতরে ঢোকার চেষ্টা?; বিধানসভার পক্ষ থেকে অবশ্য পাল্টা বলা হয়েছে অর্ডার যে আছে তা তো বিলক্ষণ জানেন বিজেপির বিধায়করা। না হলে আর মামলা করলেন কেন? কিন্তু যে ঘটনা ঘটানো হলো সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। বিধায়কদের কাছ থেকে এটা কখনোই আশা করা যায় না।