শোভন গায়েন। কলকাতা সারাদিন।
“যদি চিকিৎসার প্রয়োজন হয়, তবে কলকাতায় না এসে করাচি বা লাহোর যান। এখানে আসবেন না।” এভাবেই বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের নি:শর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে হুঁশিয়ারি দেন।
বুধবার কলকাতার রবীন্দ্র সদন থেকে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশন পর্যন্ত মিছিল বের করে বিজেপি নেতারা। মিছিলে নেতৃত্ব দেন শুভেন্দু অধিকারী, যিনি হাই কমিশনে গিয়ে ভারতের ভিসা নীতি সংশোধনের দাবি তোলেন। শুভেন্দু অভিযোগ করেন, “বাংলাদেশে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ বন্ধ হোক। ভারতীয় নাগরিকদের প্রতি অবমাননা সহ্য করা হবে না।”
সেখানেই থামেননি শুভেন্দু। ইসকনের সন্ন্যাসীর গ্রেফতারির প্রতিবাদে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসকে আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘ডক্টর ইউনুসের আত্মীয়রা আমাদের বর্ধমানে আছেন। নিশ্চিতভাবে তাঁর অনুমোদন ছিল।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ডক্টর ইউনুস যাদের উপরে এসব করছেন, তারা যা, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে যাদেরকে লালিত-পালিত করে রেখেছেন, তারা একই। আজ বিধানসভায় সংবিধান দিবসের দ্বিতীয় দিনে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর বক্তব্য কেউ শুনে থাকেন, তাহলে বুঝতে পারবেন যে মমতা কোন শক্তিকে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ চালাচ্ছেন।’
শুভেন্দু দাবি করেছেন, শুধু ডেপুটি হাই কমিশনে প্রতিবাদ জানিয়ে ক্ষান্ত থাকবেন না। সীমান্তে যাবেন। তিনি বলেছেন, ‘এখান থেকে দাবি করছি যে ভিসা ১০০ শতাংশ বন্ধ করুন। প্রয়োজন হলে একদিন অপেক্ষা করে আমরা ভিসা দফতরেও যাবে এখানে। পুরোপরি ভিসা দেওয়া বন্ধ করুন। আমদানি এবং রফতানির অনুমোদন দেওয়া বন্ধ করুন। বাকিটা আমরা বর্ডারে করব সোমবার থেকে। বলে দিলাম। চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। হিন্দুদের উপরে আক্রমণ এবং মন্দির ভাঙা বন্ধ করতে হবে।’