সুমন তরফদার। কলকাতা সারাদিন।
অজয় এডওয়ার্ডের হাত ধরেই শুরু হয়েছিল হামরো পার্টি। এরপর আচমকাই দার্জিলিংয়ের পাহাড়বাসীর মনে জায়গা করে নিয়েছিল এই হামরো পার্টি। একেবারে ধূমকেতুর মতো উঠে এসেছিল এই দল। কিন্তু আচমকাই সেই হামরো পার্টির রাজনৈতিক জয়যাত্রা থেমে যেতে থাকে।
রবিবার থেকে শুরু হল সেই অজয় এডওয়ার্ডের নতুন দল।
নাম ইন্ডিয়ান গোর্খা জনশক্তি পার্টি বা ভারতীয় গোর্খা জনশক্তি পার্টি। এই পার্টিতে পাহাড়ের রাজনৈতিক ও তাত্ত্বিক বৃত্তের একাধিক চেনা মুখকে দেখা গিয়েছে। তাঁদের মধ্য়ে অন্যতম হল প্রদীপ প্রধান, এনবি খাওয়াস, প্রকাশ গুরুং, সারদা রাই সুব্বা, মহেন্দ্র ছেত্রী প্রমুখ। এমনকী নতুন এই দলের তরফে দাবি করা হচ্ছে, জিএনএলএফ, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, তৃণমূলের বহু নেতা নেত্রী এই নতুন দলে যোগ দিয়েছেন। অনেকে আবার যোগাযোগ রাখছেন।
সবার আগে পাহাড়ের উন্নয়নের দাবিতে সরব হচ্ছে এই দল। সেই সঙ্গেই নতুন এই দলকে আরও শক্তিশালী করে আগামী একাধিক নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
অজয়ের হামরো পার্টি গত কয়েকবছরে বেশ ভালো দাগ কেটেছিল পাহাড়ের রাজনীতিতে। ২০২১ সালের ২৫শে নভেম্বর হামরো পার্টি তৈরি করেছিলেন অজয় এডওয়ার্ড। সেই দল দার্জিলিং পুরসভাতেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। কিন্তু দলের কাউন্সিলরদের ধরে রাখতে গিয়ে বিপাকে পড়ে হামরো পার্টি। সেই সময় অনীত থাপারও দ্রুত উত্থান। একের পর এক কাউন্সিলরকে নিজের দিকে টানা শুরু করেন অনীত। সেই আগ্রাসনের কাছে পিছু হঠেন অজয়। এরপর তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান কী হবে তা নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা ছিলই। তবে পাহাড়ের রাজনীতি থেকে সরে যাননি অজয়। এবার এল নতুন দল।
২০২৬ এর বিধানসভা ভোটের এখনও বেশ কিছুটা দেরি রয়েছে। তার আগে রাজনৈতিক দলগুলি তাদের মতো করে ঘর গোছাতে শুরু করেছে। এসবের মধ্যেই সামনে এল অজয়ের নতুন রাজনৈতিক দল। সোশ্য়াল মিডিয়াতেও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন একথা।
এবার নতুন দল ইন্ডিয়ান গোর্খা জনশক্তি পার্টি। দার্জিলিংয়ের জিমখানা ক্লাবে এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ করেছে বলে খবর। তার আগে ভেঙে দেওয়া হয় হামরো পার্টিকে। এদিকে এই নতুন দলে কার্শিয়াংয়ের এক প্রাক্তন বিধায়ক, কালিম্পংয়ের এক প্রাক্তন বিধায়ক থাকতে পারেন বলে খবর। সেক্ষেত্রে শীতের মাঝামাঝি পাহাড়ের রাজনীতির হাওয়া পুরো ঘুরে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গেল।